দেশে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ‘সিজারিয়ান সেকশন’ বা সি-সেকশনের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ২০২২ সালে সিজারে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ৮৪ শতাংশই হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি ১৪ শতাংশ হয়েছে সরকারি হাসপাতালে আর ২ শতাংশ হয়ে এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস) ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসব বৃদ্ধির কারণে সি-সেকশন বা সিজারিয়ানদের সংখ্যাও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালে দেশে সিজারের হার ৩৪ শতাংশ। ২০২২ সালে সিজারের ঘটনা বেড়ে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০২২ সালে ঘরে স্বাভাবিক প্রসবে শিশু জন্মদান হয়েছে ১২ লাখ ৬২ হাজার ৩২৪ জন। সরকারি হাসপাতালে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৮ জন শিশুর জন্ম হয়েছে, যাদের মধ্যে সিজার হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮ জনের।
বেসরকারি হাসপাতালে ১৬ লাখ ৩১ হাজার ২৫৫ জন শিশুর জন্ম হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪২ জনের সিজার হয়েছে। আর এনজিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৬১ হাজার ৪৮৯ জন শিশুর জন্ম হয়েছে, যাদের মধ্যে সিজারে হয়েছে ২২ হাজার ১৩৬ জন।
দেশে ‘সিজারিয়ান সেকশন’ বা সি-সেকশনের হার অস্বাভাবিক বাড়তে থাকায় সভায় শঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতির পরিবর্তনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, মায়ের উদর ও জরায়ুতে অস্ত্রপচার করে শিশু জন্মদানের পদ্ধতিকে সি-সেকশন বা সিজার বলা হয়। প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান প্রসব সম্ভব না হলে অথবা মা বা শিশুর জীবন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলে অথবা ভ্রূণের অস্বাভাবিকতার ক্ষেত্রে পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা। তবে দেশে কয়েক দশকে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে দেশের শহরাঞ্চলে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে সিজারের উচ্চহার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর জন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবসায়িক মনোভাবকে দায়ী করেছিলেন।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন