আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: আমিনুল হক
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক বলেছেন, ‘আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাই। যে রাষ্ট্রে আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না। আর কোনো ভাইয়ের রক্ত ঝরবে না। আমার কোনো ভাইকে আর হত্যা করা হবে না। আমরা সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সেই প্রেতাত্নাদের খুঁজে বের করতে হবে। তারপর তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।’
গতকাল সোমবারবিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর মিল্লাত ক্যাম্প, মিরপর ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর ১১ নম্বর নান্নু মার্কেট, এ ব্লক, কালসী ও ২ নং ওয়ার্ডে সন্ত্রাস নৈরাজ্য বিরোধী জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন দোকানপাট, বিপণী বিতান, হাট বাজার শপিংমলের সামনে গণসংযোগ করে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। এদেরকে যদি আমরা মুক্ত করতে না পারি, তাহলে এই আওয়ামী প্রেতাত্মারা আবারও আপনাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবে। তবে সেই সুযোগ বাংলাদেশের মানুষ আর হতে দেবে না। কারণ আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী, আওয়ামী লীগ হচ্ছে স্বৈরাচার, আওয়ামী লীগ এখন মানুষের মুখের একটা গালি।’
আমিনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনার লোকেরা হত্যা করেছে, খুন করেছে। আমাদের সাধারণ ছাত্রদের যেভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। সাধারণ জনগণের উপর যেভাবে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। গত ১৭ বছরে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ বাংলাদেশের হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গুম করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। তার বিচার আমরা বাংলার মাটিতে দেখব, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে, ইনশাআল্লাহ।’
অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে, সারাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ তারা করে যাচ্ছে। দেশের পরিবেশ সুষ্ঠু করার কাজ করে যাচ্ছেন তারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বাংলাদেশের মানুষ থাকতে চাই। আমরা একটা শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র গড়তে চাই। বাংলাদেশের মানুষ তাদের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সামনে যে ভোট হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ এখন ভোট দিতে পারবে।’
আমিনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী সরকার গত ১৭ বছরে মানুষের ওপর যেভাবে জুলুম-নির্যাতন করেছে, নিপীড়ন চালিয়েছে, যেভাবে হত্যা করেছে, যেভাবে রক্ত ঝরিয়েছে আমাদের ছাত্র জনতার ওপর। এই বাংলার মাটিতে এই আওয়ামী লীগের আর কোনো অস্তিত্ব নাই। কারণ আমরা স্বৈরাচারের কোনো অস্তিত্ব বাংলার মাটিতে রাখবো না।’
গত ১৭ বছর ধরে সংখ্যালঘুদের উপর গত আওয়ামী সরকার অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়ে তার দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু ভাইদের বলব, চিন্তার কোনো কারন নাই। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাই আমরা ভাই ভাই, সবাইকে নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সন্ত্রাস চাঁদবাজি দখলের বিরুদ্ধে বিএনপি জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তরে কোনো স্থানে চাঁদাবাজি চলতে দেব না। কোনো সন্ত্রাসী চলবে না। কোনো মাদক ব্যবসা চলবে না। দোকানপাট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো চাঁদাবাজি করতে আসলে তাদেরকে আপনারা আইনের লোকের হাতে তুলে দেবেন।’
গণসংযোগ ও পথসভায় ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী থানা বিএনপি ও সব অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।