Image description
 

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ইকো রিসোর্ট পুড়ে প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রিসোর্ট মালিকদের বরাত দিয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা অজিত কুমার দাস বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে শায়রী রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পাশের আরও দুটি রিসোর্ট আগুনে পুড়ে যায়। গলাচিপা বিচ ভ্যালি এবং কিংশুক রিসোর্ট অধিকাংশ পুড়ে গেছে। আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছি। রিসোর্টগুলো খুব সুন্দর এবং উন্নতমানের ছিল।’তিনি আরও বলেন, ‘রিসোর্ট মালিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৬ কোটি টাকায় ক্ষতি হয়েছে বলে জেনেছি। পাশাপাশি শায়রী রিসোর্ট থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাতও হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। তবু আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি। এ ছাড়া পুড়ে যাওয়া রিসোর্টে থাকা পর্যটকদের অন্য হোটেলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শায়রী, বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্ট পুড়ে যায়।পুড়ে যাওয়া কিংশুক রিসোর্টের সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন বাবর বলেন, ‘হঠাৎ করে রাতে আগুন দেখতে পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমরা রিসোর্টে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নিই। ততক্ষণে আমাদের রিসোর্টের ১৫টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কাঠ, বাঁশ এবং ছাউনি দিয়ে তৈরি ছিল আমাদের রিসোর্টটি। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেড় কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া আমাদের ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে।’

রিসোর্ট বিচ ভ্যালির মালিক মো. সরোয়ার কামাল বলেন, ‘আগুন আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। পুরো রিসোর্টটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনও মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। আমাদের ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আমরা কী করবো?’সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘দ্বীপে বিভিন্ন কারণে ব্যবসায়ীরা খুব বিপদের মধ্যে রয়েছেন। তার ওপর আগুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো।’টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের একটা টিম সেখানে পৌঁছেছে। তারা আগুনের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে। আর ক্ষতিগ্রস্তদের কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’