ভারতের বিপক্ষে কেন বাংলাদেশ এবার ভালো করতে পারে, হার্শার ব্যাখ্যা
ভারতের বিপক্ষে খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পায় না বাংলাদেশ। যে কয়টি সিরিজ খেলেছে, প্রায় সবগুলোই হেরেছে নূন্যতম প্রতিরোধ গড়া ছাড়া। এখনো পর্যন্ত খেলা আটটি সিরিজের সাতটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এখনো পর্যন্ত মাত্র দুইটি ম্যাচই ড্র করতে পেরেছে টাইগাররা, সেটিও বৃষ্টির কল্যাণে।
সবশেষ দেখায়ও খুব বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে মুমিনুল হকের নেতৃত্বে ভারতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫ বছর আগের সেই সিরিজে নূন্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি টাইগাররা। দুই ম্যাচেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে মুমিনুল হকের দল।
আবারও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারত গেছে বাংলাদেশ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর, কানপুরে। আগে প্রত্যেকবার অসহায় আত্মসমর্পণ করলেও এবার সফরে গেছে আত্মবিশ্বাস নিয়েই। সবশেষ পাকিস্তান সফরেই তো স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবার বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা অনেকেই। তার মধ্যে আছেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেও।
গতকাল রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারে সেই ব্যাখ্যায় বলেন, ‘বিগত অনেক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সবচেয়ে ভালো মনে হচ্ছে। এর প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা দারুণ রোমাঞ্চকর একজন বোলার। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। হাসান মাহমুদও পাকিস্তানের ব্যাটারদের ভুগিয়েছে। এখানে (ভারত) তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ হতে পারে। সেও দেখাতে চাইবে, কেন তাকে আমরা মূল্যায়ন করে থাকি।’
বাংলাদেশ দল আগের চেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ বলেও মনে করেন হার্শা, ‘ভারত অনেকটা এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই আশা করছি। কারণ, এর আগে (ভারত সফরে) তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।’
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে হার্শা বলেন, ‘তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকালে দেখবেন, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটার। এদের মধ্যে দুজন স্বীকৃত উইকেটকিপার এবং দুজন পুরোদস্তুর স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার, তাদের মধ্যে একজন অবশ্যই সাকিব আল হাসান, অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে যতবারই দেখছি, সে শুধু উন্নতিই করে যাচ্ছে। লিটন দাস ও মিরাজকে দেখে আমার মনে এই অনুভূতি জন্মেছে যে তারা এখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’