আগামী ২০শে মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বার শপথ নেবেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে ফের ট্রাম্পের নিশানায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্ষমতায় ফিরেই তিনি সব ধর্ষক, খুনি এবং দানবদের প্রাণদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। আসলে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৭ জন রাজবন্দীর শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেওয়ার পরদিনই এই ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘জো বাইডেন আমাদের দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ খুনিদের মধ্যে ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করে দিয়েছেন। আপনি যদি এদের প্রত্যেকের বিষয়ে জানবেন, তাহলে বিশ্বাসই হবে না কেউ এরকম করতে পারে। কোনও অর্থই নেই এদের সাজা মুকুবের। নিহতদের আত্মীয় এবং বন্ধুরা এমন ঘোষণায় হতাশ। তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না এমন ঘটেছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই বিচার বিভাগকে কঠোরভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেব; যাতে করে ধর্ষক, খুনি ও দানবদের হাত থেকে মার্কিন পরিবার ও শিশুরা রক্ষা পায়।'
বাইডেন যাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে দিয়েছেন তাদের মধ্যে ৯ জন সহবন্দিদের হত্যা করেছে। ৪ জন ব্যাংক ডাকাতির সময় খুন করেছে। এবং একজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত। যদিও তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন বাইডেন। এদের মধ্যে ২০১৩ সালে বোস্টন ম্যারাথন বম্বার, ২০১৮ সালে ১১ জন ইহুদি উপাসকের খুনি এবং ২০১৫ সালে গুলি চালিয়ে ৯ জন কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করা শ্বেতাঙ্গ রয়েছে। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি মাদক ব্যবসায়ী, শিশু পাচারকারী এবং মার্কিন নাগরিকদের হত্যায় জড়িত অভিবাসীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা বলেছেন। এটিকে তার অভিবাসী-বিরোধী অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান