Image description
কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় রাশিয়ার দিকে অভিযোগ
কাজাখস্তানের আকতাউ বিমানবন্দরের কাছে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ৩৭ জন নিহতের ঘটনায় রাশিয়ার দিকে অভিযোগ উঠেছে। বেঁচে থাকা যাত্রীরা জানিয়েছেন বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তারা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ধূম্রজাল। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি। কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ৬২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনির দিকে যাত্রা করে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট জে২-৮২৪৩। যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজানের, ৬ জন কাজাখস্তানের, ৩ জন কিরগিজস্তানের ও ১৬ জন রাশিয়ার নাগরিক ছিলেন। সামাজিকমাধ্যম এক্সে এমব্রায়ার ১৯০ মডেলের ওই উড়োজাহাজটির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তারপর ঘন কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া প্রাথমিকভাবে জানায়, উড়োজাহাজটি একটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে জরুরি পরিস্থিতির শিকার হয়ে আকতাউ শহরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে কিছু নাশকতার সন্দেহে দাবি করা হচ্ছে, উড়োজাহাজটিকে ইউক্রেনের ড্রোন ভেবেছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ফলে সেটিকে গুলি করে নামানোর চেষ্টা করে তারা। যদিও এই দাবির সত্যতা স্বাধীন ভাবে যাচাই করেনি সিএনএন নিউজ ১৮। এছাড়া ইউরোনিউজ তদন্তে ঘনিষ্ঠ সূত্রের কাছ থেকে নিশ্চিত তথ্য পেয়েছে, বিমানটিকে সারফেস টু এয়ার মিসাইল দ্বারা আঘাত করা হতে পারে, সম্ভবত একটি রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে। এই তত্ত্বটি আজারবাইজান-ভিত্তিক নিউজ আউটলেট এনিউজজেটের একটি প্রতিবেদন দ্বারা সমর্থিত। এক রাশিয়ান সামরিক ব্লগারকে উল্লেখ করেছে, ক্ষতির পরিমাণ দুর্ঘটনাজনিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বুধবার ভাষণে বলেছেন, দূর্ঘটনা ম্পর্কে অনুমান করা অনুচিত। যদিও তিনি নিশ্চিত করেছেন যে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিমানটিকে আকতাউতে ঘুরতে বাধ্য করেছিল, যেখানে অবতরণের চেষ্টা করার সময় এটি শেষ পর্যন্ত বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই ঘটনাটি উচ্চতর সামরিক উত্তেজনাসহ অঞ্চলে বিমান ভ্রমণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে গ্রোজনির মতো ভারী বিমান প্রতিরক্ষার অধীনে থাকা অঞ্চলে। আজারবাইজান এয়ারলাইন্স জনসাধারণকে সব তথ্য প্রকাশ করার অঙ্গীকার করেছে। কর্মকর্তারা চলমান তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে, কাজাখস্তানের জরুরী পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য ধ্বংসাবশেষে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।