Image description
বাশার আল-আসাদের বাসভবনে লুটপাট, ভাঙচুর-আগুন
বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তার পতনের পর প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। দামেস্ক থেকে এএফপির প্রতিনিধি এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার সকালের দিকে বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্ক দখল করে নিলে আসাদের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। আসাদের পতনের পরপরই দেশজুড়ে উল্লাসে মেতে উঠেছেন সিরীয়রা। তাদের মধ্যে অনেকে দামেস্কের কেন্দ্রে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদের বিলাসবহুল বাসভবনে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছেন। সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চলা শাসনের পতন হয়েছে অনেকটা আশ্চর্যজনকভাবে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিদ্রোহীরা যখন সিরিয়ার ইদলিবে তাদের ঘাঁটি থেকে নিজেদের অভিযান শুরু করেছিল, তখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ছিল প্রায় কল্পনাতীত। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের শাসনের পতন ঘটিয়েছেন সশস্ত্র যোদ্ধারা। আসাদের পতন সিরিয়ার জন্য একটি মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনা। আসাদ সরকারের পতনের পর রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের ছয়তলা বাসভবনে ঢুকে পড়েন নারী, শিশু ও পুরুষরা। ভবন থেকে দামি জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গেছে তাদের অনেককে। এ সময় বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করেন, ভাঙচুরও চালান আসাদবিরোধীরা এবং সম্মেলনকক্ষে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কক্ষগুলোতে কিছু আসবাবপত্র মেঝেতে পড়ে ছিল। এ ছাড়া প্রাসাদে সংরক্ষিত আসাদ ও তার বাবার বেশ কিছু প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলেছেন তারা। দামেস্কের বাসিন্দা ৪৪ বছর বয়সী আবু ওমর বলেন, ‘আমি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। তারা আমাদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখানে এসে ছবি তুলছি। কারণ আসাদের বাড়ির মাঝখানে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবনটি দামেস্কের আল-মালিকি অভিজাত এলাকায় অবস্থিত। সেখানে তিনটি ছয়তলা ভবন নিয়ে গঠিত আসাদের বাসভবন। সূত্র : রয়টার্স