বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। আর এই সুযোগে সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করেছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশটির সেনাবাহিনীকে ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অধিকৃত গোলান মালভূমির মাঝে অবস্থিত জাতিসংঘের দেওয়া ‘বাফার জোন’ দখলের নির্দেশ দিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত ১৯৭৪ সালের চুক্তি ভেঙ্গে গেছে এবং সিরিয়ার সৈন্যরা তাদের অবস্থান ত্যাগ করেছে, যার ফলে এই এলাকাগুলো ইসরায়েলের দখল নেওয়া অতি জরুরি। কেননা, আমরা কোনো শত্রু শক্তিকে আমাদের সীমান্তে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে দেব না।’
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পরপরই প্রায় ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধ ট্যাংক।
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলান মালভূমির হারমন পর্বতের সিরিয়ার দিকটি দখলে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিজাত ‘শালদাগ’ ইউনিট।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী— আইডিএফ জানিয়েছে, রবিবার সকালে এই অভিযানে বিমানগুলো কোনো প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়নি।
আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যে বাফার জোনে বাহিনী মোতায়েন করছে, যার মধ্যে মাউন্ট হারমন এলাকাও রয়েছে। এছাড়া মেরম গোলান, আইন জিভান, বুকআতা এবং খিরবেত আইন হুরার চারপাশের কৃষি অঞ্চলগুলোতে বেসামরিক লোকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
কৃষকেরা সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন অনুসারে এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কিছু সময়ের জন্য এই অঞ্চলগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমির বেশিরভাগ অংশ দখল করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে ইসরায়েলি বাহিনী পুরো গোলান মালভূমির দখলে নেয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে সিরিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবে দেখে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন