Image description
হাজিদের বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরত দেবে আফগান সরকার
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাবুলসহ অন্যান্য প্রদেশে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত ধর্মমন্ত্রী নূর মোহাম্মদ সাকিব জানিয়েছেন, বেঁচে যাওয়া অর্থ থেকে প্রত্যেক হাজি ৩৭ ডলার এবং ৬১ আফগানি ফেরত পাবেন। মন্ত্রী আরও জানান, এ বছর হজের জন্য হাজিদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১১ কোটি ২০ লাখের বেশি ডলার ব্যয় হয়েছে। বাকি অর্থ সরকারের কাছে রয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘হজের খরচের হিসাব শেষে দেখা গেছে, মোট ১১ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ ডলার ৮৩ সেন্ট খরচ হয়েছে। এতে বেঁচে গেছে ১১ লাখ ১১ হাজার ১০ ডলার ১৪ সেন্ট। ফলে, প্রত্যেক হাজি ৩৭ ডলার এবং ৬১ আফগানি করে ফেরত পাবেন।’ ধর্মমন্ত্রী সাকিব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজিদের অর্থ সংগ্রহ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যদিও তিনি উল্লেখ করেছেন যে বেঁচে যাওয়া অর্থ ব্যাংকে ট্রাস্ট হিসেবে রাখা আছে এবং যে কোনো সময় তা সংগ্রহ করা যাবে। তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালে আফগানিস্তান থেকে ৩০ হাজার মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন এবং এই সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান হাজিদের খরচ না হওয়া অর্থ ফেরত দেয়। তালেবান শাসনামলে সেবারই প্রথমবারের মতো আফগানরা হজযাত্রা করেন। তখন প্রত্যেক হাজি ফেরত পান ৫১৫ ডলার। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফজল মোহাম্মদ হুসাইন জানান, হজ পরিচালনায় ৩০০ প্রশিক্ষক (মোয়াল্লিম) পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা হজে গিয়েছিলেন, তারা নিজস্ব খরচেই হজ করেছেন। হাজিদের অর্থ ফেরত দেয়ার খবরে সালাহ উদ্দিন নামের এক আফগান নাগরিক মন্তব্য করেন, সুদিন আসছে এবং এভাবেই আসবে। আমরা আবারও সততা, বিশ্বস্ততা এবং গৌরব ও আভিজাত্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো- ইনশাআল্লাহ।