Image description
 

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার আগে সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি।  এতে তিনি বলেছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত এড়াতে তদন্তকারীদের সামনে হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করা হয়।  অভিশংসিত হলেও তিনি সিউলে দেশটির প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বাসভবনে অবস্থান করছিলেন।

সামরিক আইন জারির ঘটনায় ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত চলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ইউন সুক-ইওল প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন। 

দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, আজ (বুধবার) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা ‘কার্যকর’ করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির তদন্তকারী দপ্তরের (সিআইও) বরাতে এ কথা জানানো হয়েছে।

 

গ্রেফতারের পর রাজধানী সিউলের মধ্যাঞ্চলের প্রেসিডেনশিয়াল বাসভবন থেকে ইউন সুক-ইওলকে বহনকারী একটি গাড়িবহর বের হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে সিউলের দক্ষিণাঞ্চলে গোওচেয়ন এলাকায় সিআইওর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে, গ্রেফতার হওয়ার আগে সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে গেছেন ইউন।  ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এটা অবৈধ তদন্ত। কিন্তু আমি অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তপাত এড়াতে সিআইওর তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এর অর্থ এটা নয় যে আমি তাদের তদন্তের অনুমোদন দিয়েছি।’

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আকস্মিক দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন সুক-ইওল। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন।  তবে এই সামরিক আইন জারির জেরে ১৪ ডিসেম্বর ইউন সুক-ইওলকে দেশটির পার্লামেন্ট থেকে অভিশংসন করা হয়। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়।