Image description
নিয়োগের ক্ষেত্রে দলমতের ঊর্ধ্বে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। এর আগে তিনি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মাত্র এক মাস আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্র আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে কথা বলেন এই শিক্ষাবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সম্পাদকীয় বিভাগের সাঈদ জুবেরী। দেশ রূপান্তর : ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের একটা ঘাটতি দীর্ঘদিন থেকেই তৈরি হয়েছে। এই জায়গাটাকে নিয়ে কী বলবেন? ড. এস এম এ ফায়েজ : ডিপার্টমেন্টগুলোতে যদি যাই স্বাভাবিক অবস্থায় সেখানে একটা সুন্দর সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু এখন যেটা স্পেশাল ডাইমেনশন সেখানে সরকার একদিকে আর বাকি সবাই একদিকে, এমন একটা পর্যায়ের মুখোমুখি হলাম আমরা। যারা নিজেদের সরকারের দল হিসেবে দাবি করেছে, তারা সেভাবে নিয়োগ পেয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে দলমতের ঊর্ধ্বে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এরা তখন একটা পক্ষ হয়েছে। তারা ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে তারা সরকারের দিকে বেশি ঝুঁকেছে, সেভাবে চিন্তাভাবনা করেছে। এই কারণেই সম্পর্কের গ্যাপটা আমাদের সামনে ধরা পড়েছে। আদার্স বিষয়গুলো আপনি ডিপার্টমেন্টের ভেতরে গেলে দেখবেন মোটাদাগে ঠিক আছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একসেপ্টেন্স আছে। ছাত্রদের রেসপেক্টফুলি দেখার চেষ্টা করা লাগবে। তাদের তো সম্মানের চোখে দেখতে হবে, স্বীকার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টা শুধু শিক্ষকরা ক্রিয়েট করবে না, ছাত্র-শিক্ষক মিলে ক্রিয়েট করতে হবে। সমাজের সবকিছু যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, ছাত্র-শিক্ষকদের একসঙ্গে মুভ করতে হবে। ঢাকা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সুন্দর একটা কথা বললেন যে, আমরা আমাদের সোসাইটিতে যে সমস্যা দেখব সেটাকে আমি ক্লাসরুমে নিয়ে আসতে চাই। কথাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। দে থিংক অ্যাবাউট ইট, ইমপ্রুভ দ্যা সোসাইটি, ডু সামথিং গুড ফর দ্যা সোসাইটি। এটাই তো হওয়ার কথা। আপনার সময় আপনি ছাত্র আন্দোলন দেখেছেন, অভ্যুত্থানও দেখেছেন। ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানটা কীভাবে দেখছেন? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছেন। ছাত্ররাজনীতিরও গুণগত পরিবর্তনের কথা আসছে। ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? গত সরকার জেলায় জেলায় একটা ইউনিভার্সিটি করে দিয়েছে সেগুলো কী মানে ইউনিভার্সিটি হয়েছে সেটা নিয়ে বড় একটা প্রশ্ন। এই জায়গাটা কীভাবে দেখেন?