Image description
‘চাঁদা দেব না, চাঁদা নেব না’
‘চাঁদা দেব না, চাঁদা নেব না’- এমন স্লোগান সংবলিত লিফলেট রাজধানীর ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের ব্যানারে বিলি করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। চাঁদামুক্ত ও সিন্ডিকেটমুক্ত দেশ গড়ি এবং চাঁদা নিতে আসলে রুখে দাঁড়াব লেখা লিফলেটটি অটোরিকশা চালক, দোকান ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন তারা। ভাটারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি আর কোনো অন্যায়, অবিচার, চাঁদাবাজি বা সিন্ডিকেট এই সমাজে থাকবে না। আমরা এই লিফলেট বিতরণের পর অনেক জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি। যেগুলো আমরা সমাধান করতে পারছি সেগুলো আমরা সমাধান করছি। যেগুলো আমরা সমাধান করতে পারছি না সেগুলোর বিষয়ে সেনাবাহিনীকে জানাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা চাঁদাবাজমুক্ত একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলব।’ এই বিষয়ে লিফলেটে দেওয়া নম্বরে সেনাবাহিনীর কল সেন্টারে যোগাযোগ করলে তারা যুগান্তরকে বলেন, এই লিফলেট তৈরিতে বৈষম্য ছাত্র সমাজের ভূমিকাটাই মুখ্য। তারা চাঁদাবাজমুক্ত একটা সমাজ নির্মাণ করতে চাচ্ছে। সেনাবাহিনী তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে এবং করবে। এই লিফলেট বিতরণের পর অনেক জায়গা থেকে ফোন আসছে। আমরা আমাদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করছি। এই বিষয়ে ভাটারার ফুটপাতের সবজি ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন যুগান্তরকে জানান, আগে প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে মাসিক ৪৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হতো। এখন আর চাঁদা দিতে হচ্ছে না। যার কারণে সবজিও কিছুটা সস্তায় বিক্রি করতে পারছি। অটোরিকশা চালক আব্দুল মোতালেব যুগান্তরকে জানান, ‘আগে মাসে ৩০০০ টাকা রাস্তা খরচ নিত। এহন কেউ টেহা নিতে আয়ে না। যার কারণে কিছু বাড়তি টেহা আতে (হাতে) জমা অয়। বাচ্চাগো লাইগ্যা অনেকদিন পর একটু মুরগির মাংস কিন্না (কিনে) নিছি। আগেতো কোনো রকম বাড়তি টেহা আতে থাকত না। যা থাকত চাঁদা দিতে দিতে শেষ। মুরগি কিনমু কোন সময়।’