Image description
দুর্নাম দূরে রাখতে নাছির সাজেন ‘দানবীর’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার পর আ জ ম নাছির উদ্দীন হয়ে যান ‘দাতা হাতেম তাই’। বেতন-ভাতা ছুঁয়েও দেখতেন না। তাঁর মেয়র জামানার পাঁচ বছরে বেতন-ভাতার প্রায় কোটি টাকা বিলিয়েছেন অসহায়-দুঃখী মানুষের পেছনে। বেতনের টাকায় তিনি খোলেন অটিজম স্কুল। খুলে দেন অভাবী ছয় শিক্ষার্থীর চিকিৎসক-প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্নের দরজা। অসচ্ছল অনেক অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা খরচ জুগিয়েছেন নিজ বেতনের পয়সায়। নাছিরের এমন সুনামের বিপরীতে দুর্নামের ফর্দ আরও লম্বা। দুই হাতে দান করলেও এলাকায় চাউর আছে– নাছির অবৈধ টাকা কামাতেন ‘চার হাতে’! চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের ক্ষমতা এতটাই প্রবল ছিল, তাঁর কথার বাইরে ছিল না ‘টুঁ’ শব্দ করার সুযোগ। ২০১৫ সালের মার্চে সিটি ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় নাছির জানিয়েছিলন, তাঁর আছে প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পদ। মেয়র হয়েই যেন বদলে যান নাছির। ক্ষমতার সঙ্গে বাড়তে থাকে সম্পদের ব্যাপ্তি। মেয়রের চেয়ারে বসার তিন মাসের মাথায় যৌথ অংশীদারিত্বে ৫০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনার কাজ নেন নাছির। এর পর শিশুপুত্রকে আহ্লাদ করে দেড় কোটি টাকায় লেক্সাস ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনে দেওয়ার ঘটনায় সেই সময় বেশ শোরগোল পড়ে। সময় যত গড়াতে থাকে, ততই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন চট্টলার প্রতাপশালী এই নেতা। তবে নানা অপকীর্তিতে জড়িয়ে শেষ দিকে এসে তিনি হারান দলের আস্থা। মেয়র পদে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পরে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে এমপি হওয়ার জন্য তিন আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েও শেখ হাসিনার মনে আর ঠাঁই পাননি। নাছিরের ওপর এভাবে আস্থা হারানোর নেপথ্যে আছে আরও কিছু কারণ। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও দলের বাইরে গিয়ে নিজের বলয় তৈরি করে রাখেন পুরো চট্টগ্রামে। তাঁর অনুসারীরা আগ্রাসী আচরণ করতে থাকে নগরজুড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাছির প্রতিষ্ঠা করেন ‘ভাই লীগ’। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল গ্রুপের সঙ্গে হরহামেশা জড়াতেন মারামারিতে। ফলে ঘটেছে খুনোখুনির ঘটনা। কিশোর গ্যাংয়েরও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নাছির। হলফনামায় যা আছে মেয়র নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় নাছির উল্লেখ করেন, বছরে তাঁর আয় ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৭৪৪ টাকা। তাঁর মোট ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে তিনি নিজ নামে রেখেছেন ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকার সম্পদ। স্ত্রীর নামে রয়েছে মাত্র ৪৮ লাখ টাকার সম্পদ। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নাছিরের নিজ নামে আছে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ৪৫ হাজার ৫৭৯ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে তিনি প্রধানত দেখিয়েছিলেন ব্যবসা। এ ছাড়া কোম্পানি থেকে পরিচালক ভাতা হিসেবে ৪২ লাখ টাকা, ওয়াক্ফ বেনিফিশিয়ারি হিসেবে সম্মানী ৩ হাজার টাকা, অন্য খাত থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং ব্যাংক সুদ বাবদ ৪ হাজার ৭৪৪ টাকা বছরে আয় আছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বন্দরে বার্থ অপারেটর, সোয়েটার ফ্যাক্টরি, ডেভেলপার, ফিশিং, ঘাট ইজারা এবং তেল পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন নাছির। তবে নির্বাচনের সময় তিন ব্যাংক ও এক বীমা প্রতিষ্ঠানে তাঁর মোট ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৪ টাকা ব্যাংক ঋণ ছিল বলে জানিয়েছিলেন। অথচ মেয়র হওয়ার তিন মাসের মাথায় বন্দরে ৫০ কোটি টাকার কাজ নেন তিনি যৌথ অংশীদারিত্বে। জাহাজ খাতে বিনিয়োগ নাছিরের বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসার পাশাপাশি মেয়র হওয়ার পর বিনিয়োগ করেন জাহাজ খাতে। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাংয়ের (আইভোয়াক) শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তিনি চারটি লাইটার জাহাজের মালিক হন। জাহাজগুলোর নাম হচ্ছে পোনিক্স মেরিন-১, পোনিক্স মেরিন-২, এমএ বেপারি-৬ ও এমএ বেপারি-৭। গত ১০ বছরে এসব জাহাজে এই টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। মেয়র হওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় লাইটার ব্যবসার কথা উল্লেখ করেননি তিনি। নজর ছিল ১২০০ জাহাজে দুই দশক ধরে চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশের নানা গন্তব্যে লাইটার জাহাজ পরিচালনা করে আসছিল ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল বা ডব্লিউটিসি। সংস্থাটি পরিচালনা নিয়ে মতভেদের কারণে গত বছর এই সংস্থা থেকে বেরিয়ে যায় চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ মালিকদের সংগঠন ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাং বা আইভোয়াক। ডব্লিউটিসিকে বাদ দিয়ে নতুন করে তারা জাহাজ পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করে। এটা নিয়ে আইভোয়াকের সঙ্গে বিবাদ চরম আকার ধারণ করে ডব্লিউটিসির। এই বিবাদ মীমাংসার দায়িত্ব নেন নাছির। এর মাধ্যমে মূলত ১ হাজার ২০০ জাহাজ চলাচলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তিনি। এই মিশনে তাঁর সঙ্গে নেপথ্যে ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী অন্যতম সংস্থা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (বিসিভোয়া)। এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নুরুল হক। এই নুরুল হক আবার ঢাকা দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই কমিটির সভাপতি হচ্ছেন সালমান এফ রহমান। নুরুল হকের মাধ্যমে এই খাত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয় নাছিরকে। বিরোধ নিষ্পত্তির সব বৈঠকে তাই ভূমিকা রাখতে থাকেন নাছির। তবে ক্ষমতার পট বদলের কারণে এই মিশন শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। ছেলের গাড়ি দেড় কোটি মেয়র হওয়ার ১৫ মাসের মাথায় সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া শিশুসন্তানের জন্য দেড় কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি কিনেছিলেন নাছির। জাপানের তৈরি ২০১৬ সালের মডেলের এজিএল-২০-০০০৩২৫২ ব্র্যান্ডের লেক্সাস গাড়িটি সাদা রঙের। ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাঈদ মো. তানবীরের বাবা মেয়র নাছিরের এমন বিলাসবহুল গাড়ি কেনার বিষয়কে তখন ভালোভাবে নেয়নি সুশীল সমাজ। নাছিরের ‘স্নেহে’ সুদীপ একসঙ্গে ১১ দায়িত্বে ২০০৬ সালে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ বসাক। এক পর্যায়ে পান মেকানিক্যাল বিভাগের অতিরিক্ত সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব। মাঝখানে এক দফা চাকরি নিয়েই শুরু হয়েছিল টানাটানি। তবে নাছির সিটি মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাতারাতি তাঁর ভাগ্য বদলে যায়। মাত্র ৫ বছরে একের পর এক পদোন্নতি ও দায়িত্ব পেয়ে রীতিমতো সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন সুদীপ। প্রভাব বিস্তার করে জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়মে। করপোরেশনের যান্ত্রিক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুদীপ বসাক একসঙ্গে ১১ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ‘কিশোর গ্যাং’ চট্টগ্রামে বেশ আতঙ্ক তৈরি করেছিল ‘কিশোর গ্যাং’। নেপথ্যে এই গ্যাংকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার অভিযোগ আছে নাছিরের বিরুদ্ধে। চকবাজার চট্টগ্রাম নগরের ‘শিক্ষাঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত। এখানে আছে দুটি নামকরা কলেজ ও কয়েকটি স্কুল। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, উঠতি সন্ত্রাসী ও কিশোরদের নিয়ে এলাকায় সক্রিয় ছিল দুটি গ্রুপ। নেতৃত্বে ছিলেন কথিত যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনু (নওফেল গ্রুপ) ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রউফ (নাছির গ্রুপ)। নগরের বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ ও চকবাজার এলাকায় টিনুর গ্রুপের উৎপাত ছিল বেশি। এখানে চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত এ গ্রুপের সদস্যরা। এ গ্যাংয়ের সদস্য সাইফুলের হাতে খুন হন লোকমান। এ ঘটনার দু’দিন পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় সাইফুল ইসলাম। সাইফুল যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী ছিল। চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রউফের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ চকবাজার, জামালখান, গণি বেকারি মোড়, চন্দনপুরা ও রহমতগঞ্জ এলাকায় সক্রিয় ছিল। এ গ্রুপটির বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ছিল। চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ও ডাকাতি মামলার আসামি মো. ফিরোজ (নাছির গ্রুপ) ‘রিচ কিডস’ নামে একটি গ্যাং পরিচালনা করত। নগরের লালখান বাজার এলাকা ছিল অপরাধের স্বর্গরাজ্য। সেখানে সক্রিয় ছিল দুটি গ্রুপ। এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম (নাছির গ্রুপ), অন্য পক্ষের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল (নওফেল গ্রুপ)। নগরের জামালখান, চেরাগী পাহাড়, হেমসেন লেন, লাভ লেন, নন্দনকানন, এনায়েতবাজার এলাকায় সক্রিয় ছিল দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীর একটি গ্যাং। নৃশংসভাবে হত্যা, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ রয়েছে এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। এক মায়ের তোপের মুখে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর কৃষক লীগের এক অনুষ্ঠানে নিহত ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মা জাহেদা আমিনের তোপের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন মেয়র নাছির। অনুষ্ঠানে মেয়রকে দেখে দিয়াজের মা ও চট্টগ্রাম নগর কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহেদা আমিন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি ছেলে হত্যার বিচারের দীর্ঘসূত্রতার জন্য মেয়রকে দায়ী করেন। মেয়র খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। নাছিরের নির্দেশে তখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মিথ্যা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে বলেও জানান দিয়াজের মা জাহেদা আমিন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় নিজ কক্ষ থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে– আত্মহত্যা নয়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর মা চবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতিসহ আরও কয়েকজন নেতাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামি সবাই নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছিল। দিয়াজ ইরফান নিজেও মেয়রের অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করতেন। নাছির যা বলেছিলেন নাছির এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে এসব প্রসঙ্গে এর আগে সমকালকে তিনি বলেছিলেন, ‘বৈধভাবে ব্যবসা করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আমার ব্যবসা ছিল মেয়র হওয়ার আগে থেকেই। মেয়র পদ ব্যবহার করে আমি কোথাও কোনো অন্যায় সুবিধা নিইনি। বরং নিজের বেতনের টাকা অসহায় ও অসচ্ছল মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছি। প্রতি মাসে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সম্মানী পেলেও সেই টাকা দান করছি অটিজম স্কুল, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদের জন্য। বেতন-ভাতা থেকে পাওয়া ১ কোটি টাকার পুরোটা অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করেছি। আমি সিটি করপোরেশনের গাড়ি ব্যবহার করি না। আমি যে ব্যবসায়ী, তা হলফনামায়ও উল্লেখ আছে। আমার কেনো কিছু গোপন নেই।’ ছেলের গাড়ি কেনা প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দীন তখন বলেছিলেন, ‘ছেলের শখ পূরণ করতে গাড়িটি কেনা হয়েছে। তবে গাড়িটি কেনার প্রক্রিয়া আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই শুরু করেছিলাম। আমি ব্যবসা করি। এমন গাড়ি কিনতেই পারি।’