Image description
সচিব হওয়ার সহজ যাত্রায় লাগাম টেনেছে সরকার
সরকারের সাম্প্রতিক এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অন্তত এক বছরের অভিজ্ঞতা না থাকলে সচিব পদে পদোন্নতি পাবেন না সরকারি কর্মকর্তারা। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গণহারে প্রায় ৪৫০ কর্মকর্তাকে উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত এই কর্মকর্তাদের অনেকে ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন। ফলে, সম্প্রতি অতিরিক্ত সচিব হওয়া অনেকেই অবিলম্বে সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য। তবে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অন্তত এক বছর কাজ করার আগে তাদের পদোন্নতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেতে হলে অন্তত দুই বছর অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, 'বৈষম্যের শিকার' বেসামরিক কর্মচারীদের কাছ থেকে পদোন্নতির জন্য প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে বেশ কয়েকজন যোগ্য কর্মকর্তা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে নতুন প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এখন তারা সচিব পদে পদোন্নতির জন্য তদবির শুরু করেছেন বলে সূত্র জানায়। মাত্র এক সপ্তাহে কর্মকর্তারা সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন, এমন নজিরও রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে ১৫তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা বাবুল মিয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করা যায়। তাকে ১৩ আগস্ট উপসচিব, ১৫ আগস্ট যুগ্ম সচিব ও ১৮ আগস্ট অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সাবেক সচিব ও জনপ্রশাসন গবেষক একেএম আব্দুল আউয়াল মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে।' তিনি বলেন, 'তাদের মধ্যে অনেকে সত্যিই পদোন্নতির যোগ্য ছিলেন, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। তবে, অনেকে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছেন। কিন্তু, সচিব বা কোনো বিভাগের প্রধানের মতো উচ্চ পদে পদোন্নতির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের অভিজ্ঞতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' 'অন্তত এক বছরের অভিজ্ঞতার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ,' যোগ করেন তিনি।