রাজনৈতিক অঙ্গনে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন গঠনপ্রক্রিয়ায় থাকা তরুণদের রাজনৈতিক দল। ১০-২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আত্মপ্রকাশের কথা রয়েছে নতুন এই দলের। দল গঠনের দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সংশ্লিষ্টরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। চলছে রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কাজ। শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সারা দেশে চালানো হচ্ছে ম্যানপাওয়ার বাড়ানোর কাজ।
নাগরিক কমিটি সূত্রে জানা যায়, ভিন্ন কোনো নামে সম্পূর্ণ নতুন কলেবরে গঠিত হবে তরুণদের রাজনৈতিক দল। পরবর্তী সংসদে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির পক্ষ থেকে দেশের সব সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। স্বতন্ত্র সত্তা বজায় রেখে রাজনৈতিক দলের ‘প্রেসার গ্রুপ’ হিসেবে কাজ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে ও ম্যানপাওয়ার বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কলেবর বাড়ানো হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন করে ৪১ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৮ জনে।
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় নাগরিক কমিটির। গত চার মাসে সারা দেশে ২৭০টি প্রতিনিধি কমিটি গঠন করেছে তারা। এর মধ্যে উপজেলা কমিটি ১৫১টি, থানা কমিটি ১১৪টি এবং উইং সংখ্যা ৫টি।
নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃতির লক্ষ্যে নবগঠিত দুটিসহ এ পর্যন্ত ১৭টি বিশেষায়িত সেল গঠন করা হয়েছে। গঠিত সেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ সেল, দপ্তর সেল, প্রচার ও প্রকাশনা সেল, আইসিটি সেল, তথ্য ও জনসংযোগ সেল, ক্রাইসিস রেসপন্স সেল, শিক্ষা ও গবেষণা সেল, ডায়াস্পোরা সেল (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), এনজিও সেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-কূটনীতি সেল, রাজনৈতিক কর্মশালা সেল, সংস্কৃতি সেল, নারীবিষয়ক বিশেষ সেল, আইন সেল। সর্বশেষ গত শনিবার গঠন করা হয় মিডিয়া সেল এবং ডকুমেন্টারি অ্যান্ড আর্কাইভ সেল। আট সদস্য বিশিষ্ট মিডিয়া সেলের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সহ-মুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীন। অন্যরা হলেন- প্লাবণ তারিক, মো. মাহাবুব আলম, মীর আরশাদুল হক, আবু রায়হান, সাবিত আল হাসান, সৈয়দা নীলিমা দোলা ও মো. আরিফুর রহমান। মুশফিক উস সালেহীন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশেষায়িত সেলগুলো আমাদের নতুন ধারার রাজনৈতিক দলটিকে গণমানুষের দল হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে বলে আমরা আশাবাদী। এসব সেলের মধ্য দিয়ে তরুণরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে সংযুক্ত করবে। জনমানুষের ভাবনা এবং মতামতের প্রতিফলন ঘটাবে। ডকুমেন্টারি অ্যান্ড আর্কাইভ সেল সম্পাদক করা হয়েছে মো. মেসবাহ কামালকে। অন্য সদস্যরা হলেন- সৈয়দা নিলীমা দোলা, তামিম আহমেদ, জাভেদ রাসিন, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, রুম্মানা জান্নাত, ফারিবা হায়দার ও রাফিদ ভূঁইয়া।
কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন ৪১ মুখ : খোকন চন্দ্র বর্মণ, প্রিয়া খান, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, জাকারিয়া হোসাইন অনিমেষ, নীলা আফরোজ, শেখ খায়রুল কবির, আরজু আহমাদ, অ্যাডভোকেট আবদুল আলিম, ইফতেখারুল ইসলাম, তৌহিদ হোসেন মজুমদার, মো. মেহেদী হাসান, ফাতেমা তুজ জোহরা, আশিকিন আলম, ইবরাহিম নাফিস, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এম এম শোয়াইব, নুরুদ্দিন খন্দকার, নাহিদা বুশরা ইতি, মো. আরিফুল দাড়িয়া, মামুন তুষার, হেনা আক্তার রুপা, রুহুল আমীন, সানাউল্লাহ খান, মো. ফাহিম রহমান খান পাঠান, ফরহাদ সোহেল, অ্যাডভোকেট মো. ছেফায়েত উল্যা (তুহিন), মো. ইনজামামুল হক, তানহা শান্তা, জায়েদ বিন নাসের, দিদার শাহ, নূর তাজ আরা ঐশী, আবদুল্লাহ আল ফয়সাল, আবদুল্লাহ হিল মামুন নিলয়, অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান, মো. নাজমুল হাসান সোহাগ, মো. দাইয়ান নাফিস, শাহানাজ পারভীন জোনাকি, ইসমাইল হোসেন, ফারিহা আলম রাহা, শাহ্ মঈন এবং রাফিয়া সুলতানা।