Image description

‘চাঁদা’ না পেয়ে প্রবাস ফেরত এক বৃদ্ধকে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসাতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে। দলের সিনিয়ন নেতাদের নাম ভাঙিয়ে দাবি করা টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করার পর থেকে এই বৃদ্ধ রোষানলে পড়েন ওই বিএনপি নেতার। এরপর থেকে একের পর এক নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন দিদার। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি থেকে শুরু সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না। এমন অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী সিরাজ উল্লাহ।

ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সদরের বাংলাবাজার পশ্চিম মুক্তারকুল এলাকায়। অভিযুক্ত দিদার একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে। তিনি সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ও ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। ভুক্তভোগী সিরাজ উল্লাহ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, পশ্চিম মুক্তারকুল বাঁকখালী নদীসংলগ্ন এলাকায় তার বাড়িসহ প্রায় ২০-৩০টি পরিবার ও কৃষি জমির স্কিম পরিচালনার সুবিধার্থে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ থেকে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের মাধ্যমে সংযোগ লাইন অনুমোদন নেন। এ খবর পেয়ে দিদার বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নামে তার (সিরাজ) কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা দাবি করতে থাকেন। টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় এ বিএনপি নেতার রোষানলে পড়েন সিরাজ। ১৫ জানুয়ারি পল্লী বিদ্যুতের মুক্তারকুল কেন্দ্রীয় মসজিদের দক্ষিণে বাঁকখালী নদীসংলগ্ন রাস্তার ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের কাজ করতে গেলে দিদারসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা ওই রাস্তাটি তার জমি বলে দাবি করে তাদের তাড়িয়ে দেন। এরপর লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেন।

পল্লী বিদ্যুতের এজিএম আজিম বলেন, ‘আমাদের লোকজন ওখানে কয়েকবার কাজ করতে গিয়ে দিদারের বাধার মুখে পড়ে ফিরে আসেন। ২৮ জানুয়ারি দিদার খুঁটি স্থাপনের জায়গাটি তার বসতঘর বলে দাবি করে একটি লিখিত অভিযোগও দেন। এছাড়া জিকু নামের এক বিএনপি নেতা দুপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সুরাহা করে দেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন।’

চাঁদর টাকা না পেয়ে প্রতিবেশীকে অহেতুক হয়রানি করছেন দিদার এমন মন্তব্য করে স্থানীয় সমাজকর্মী জাবেদ উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের একটি সামাজিক সংগঠন থেকেও ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন দিদার।’

দিদার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনো প্রকার পরামর্শ না করে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিরাজ। তিনি একজন প্রতারক। নদীর পাড়ে সরকারি খাস জায়গায় বিদ্যুতে খুঁটি বসালে আপনার সমস্যা কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নদীসহ চলাচলের রাস্তায় আমাদের জমি রয়েছে। এ কারণে তাকে বাধা দিয়েছি। লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে দিদার বলেন, সেসব লোকেরা আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন তারা মূলত আমার পরিবারিক শত্রু।

কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন জিকু বলেন, নদীর পাড়ে বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে বাধা দিচ্ছেন দিদার এ কথা সত্য। তিনি তার জায়গা দাবি করেছেন। এতে করে দুপক্ষের ঝামেলা এড়াতে আমি আপাতত সেখানে খুঁটি স্থাপন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছি।