Image description

পাবনার সুজানগরে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে সুজানগর পৌর সদরের মথুরাপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। একই দিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে একজনকে আটক করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ।

বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে গতকাল আসরের নামাজ পড়ে বের হন পাবনার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাব। এ সময় সুজানগর থানা-পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে

যাচ্ছিল। তখন স্থানীয় জনতার বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের গাড়ি আটকে আব্দুল ওহাবকে জোর করে বের করার চেষ্টা চলে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে এলাকার বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ একত্র হয়ে পুলিশের গাড়ি থেকে আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়। তোপের মুখে তাঁকে ছাড়াই ফিরে যায় পুলিশ।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গতকাল বিকেলে আমরা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যাই। গ্রেপ্তার করে ফেরার সময় এলাকাবাসী প্রথমে বাধা দিলে আমরা তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর হামলা করে তাঁকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে একজনকে আটক করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছে পুলিশ। এ সময় উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নেন। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার খানসাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকে স্কুলের পাশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ শুরু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাফায়েত গাজীকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশের গাড়ির গতিরোধ করে তাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও মো. মঈনুল হক বলেন, ‘পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও এক সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তখন উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে পুলিশ সদস্যকে নিয়ে এসে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি।’