Image description
দুদক চেয়ারম্যানকে সরাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল!

ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার দুর্নীতি তদন্তে পদে পদে বাধা আসছে। তার পরিবার, স্বজন, অনুগত সামরিক-বেসামরিক আমলা ও হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রে অর্থের জোগানদাতা অলিগার্কদের দুর্নীতি তদন্তে বাধা আসতে শুরু করেছে নানা কোণ থেকে। প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ঘাটে ঘাটে সৃষ্টি করা হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। সুকৌশলে দুদক যাতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে রণেভঙ্গ দেয় সে লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র চলছে ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশন ভেঙে দেয়ারও। লক্ষ্য হাসিলে দিল্লিদাসী হাসিনার দীর্ঘ মাফিয়াতন্ত্রের সহযোগী, অলিগার্করা গঠন করেছেন অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল। লুণ্ঠিত ও পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে গঠন করা হয়েছে এ তহবিল। তহবিলের অর্থ ব্যবহৃত হবে সরকারের ভেতর থেকে অস্থিরতা সৃষ্টি, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, বিদ্যমান কমিশন ভেঙে দেয়া এবং দুর্নীতির বিচারকে অনিশ্চিত করে তোলা। আর এসব কাজের বরকন্দাজি করছেন সরকারের ভেতরে ওঁৎপেতে থাকা প্রভাবশালী আমলা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তার পদ আঁকড়ে থাকা অবসরপ্রাপ্ত (হাসিনার আমলে সুবিধাভোগী) সামরিক কর্মকর্তা, পুলিশ, বিচারপতি ও বিচারক। ‘প্রকল্প’ বাস্তবায়নে ‘মিডিয়া পার্টনার’ হিসেবে রয়েছে ১০ অলিগার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন সংবাদ মাধ্যম। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

সূত্রটি জানায়, শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য, সহযোগী দুর্নীতিবাজ সামরিক-বেসামরিক আমলাদের যাতে সহসাই বিচারের মুখোমুখি করা না যায় সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে শুরু হয়েছে অসহযোগিতা। দুদকের তদন্ত টিমে কাজ করছেন এমন একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, হাসিনা, পরিবার সদস্য, স্বজন এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যাংক লুটেরাদের দুর্নীতির অনেক আলামতই এর মধ্যে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের চার মাস পর পুনর্গঠিত হয় দুদক। লম্বা সময় পেয়ে অনেক আলামত ধ্বংস করে ফেলা হয়। দেড় দশকের দুর্নীতির আলামত গায়েব করে দেয়া হয়। ফলে অনুসন্ধান ও তদন্তের প্রয়োজনে রেকর্ডপত্র চাওয়া হলে সহসাই মিলছে না সেই রেকর্ড। নানা ছুতোয় গড়িমসি করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে অনুসন্ধান এবং তদন্তের বিধিবদ্ধ যে সময়সীমা রয়েছে, এর মধ্যে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না অনুসন্ধান। আবেদন দিয়ে কমিশনের কাছ থেকে সময় চাইতে হচ্ছে। রেকর্ডপত্র চেয়ে একবার রিকুইজিশন দিলে নথি আসছে না। চিঠি দিতে হচ্ছে একাধিকবার চিঠি। অর্থাৎ সময়ক্ষেপণের একটি কৌশল সুস্পষ্টতই লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান এবং চার্জশিট দাখিল নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

দুদক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার আট মেগা প্রকল্পে অন্তত ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হয় গত ডিসেম্বর। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ৯ প্রকল্পে হাসিনা এবং তার পরিবারের দুর্নীতির আপাত অর্থমূল্য ৮০ হাজার কোটি টাকা। ইভিএম ক্রয় প্রকল্পেও আত্মসাত হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা। এটির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। বিদ্যুৎ বিভাগে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতেরও অনুসন্ধান চলছে। দেড় দশকের সরকারি কেনাকাটায় যে দুর্নীতি হয়েছে সেগুলোতে এখনো হাতই দেয়া হয়নি। সঙ্গত কারণেই এসব দুর্নীতির অনুসন্ধান-তদন্তে বেরিয়ে আসছে হাসিনার উচ্ছিষ্টভোগী সামরিক-বেসামরিক আমলা, প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও অলিগার্কদের সংশ্লিষ্টতা।

এর মধ্যে হাসিনা এবং তার পরিবার-স্বজনের বিরুদ্ধে পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির একাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব ববিসহ রাজউক ও গণপূর্ত বিভাগের অন্তত ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। হাসিনা রেজিমে দেশ ও জাতি গঠনে ‘অসামান্য অবদান রাখা’র কোটায় ৮৩০টি প্লট ভাগবাঁটোয়ারা হয়েছে হাসিনার সোহবতে থাকা আয়া-বুয়া-ড্রাইভার-অফিস সহায়কদের নামে। এসব অবৈধ বরাদ্দের অভিযোগও অনুসন্ধান চলছে।

গত ২৭ জানুয়ারি বিমান বন্দর সম্প্রসারণের নামে ৮১২ কোটি টাকা লোপাটের দায়ে মামলা করে দুদক। এতে হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। দুদকের পৃথক তদন্ত টিম মামলাগুলোর তদন্ত করছে। তদন্ত কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শেখ হাসিনা, পরিবারের সদস্য-স্বজনদের দুর্নীতি তদন্তে বেরিয়ে আসবে আরো অনেক সহযোগী সামরিক-বেসরমারিক কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা। কারণ, কোনো দুর্নীতিই হাসিনার পক্ষে এককভাবে করা সম্ভব হয়নি। তার নেকনজরে থাকা পদস্থ কর্মকর্তারাই ছিলেন এসব দুর্নীতির স্টেকহোল্ডার। হাসিনার দুর্নীতি প্রমাণে টানতে হচ্ছে সহযোগীদের নথি। আর এতেই যেন আঁতে ঘা লেগেছে সংশ্লিষ্টদের। মামলা হয়েছে আমলাদের বিরুদ্ধে। অথচ ঠাঁকুর ঘরে বসে ‘কলা না খাওয়া’র দাবি করছেন দুর্নীতিপ্রবণ প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। হাসিনার দুর্নীতি ধরে টান পড়তেই বেচইন হয়ে পড়েছেন ঠাঁকুরঘরের বাসিন্দারা। দুর্নীতি মামলার আসামি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে প্রকারান্তে এটিই বলার চেষ্টা চলছে যে, শেখ হাসিনা কোনো দুর্নীতি করেননি! যারা হাসিনার দুর্নীতির অংশীদার তারাও কোনো অপরাধী নন!

গত ১৬ জানুয়ারি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) দুদকে একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠির ‘বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছেÑ ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউক কর্মকর্তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে পুনর্বিবেচনা প্রসঙ্গে।’ দুই পৃষ্ঠার এ চিঠিতে ১৯৫৬ সালের ‘দ্য ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট’, ১৯৬৯ সালের রাজউকের প্লট বরাদ্দ নীতিমালা, ১৯৭৯ সালের ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা’, ২০১৩ সালের ‘রাজউক (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা’ এবং ২০১৮ সালে প্রণীত রাজউকের ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার রেফারেন্স টানা হয়েছে। বলা হয়Ñ শেখ হাসিনা ওতার পরিবারের ছয় সদস্যের অনুকূলে রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা আয়তনের ছয়টি প্লট সরকারের আইন ও বিধি মোতাবেক সরকারের লিখিত আদেশে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্ণিত ছয়টি প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে রাজউক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তথা সরকারের আদেশ পালন করেছে মাত্র।

আরো বলা হয়, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউক’-এর নাম শামিল করা হয়েছে। কিন্তু গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের ওই কর্মকর্তাদের উপরে উল্লিখিত আইন ও বিধির আলোকে বর্ণিত প্লটসমূহ বরাদ্দ প্রদানের কাজ সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সরকারের আদেশ মোতাবেক কাজ সম্পন্ন না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। সুতরাং, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের কর্মকর্তারা যেহেতু ওই আইন ও বিধি বহির্র্ভূত কাজ করেনি, সেহেতু তাদের নাম মামলা সংযুক্ত করা সমীচীন হয়নি-মর্মে প্রতীয়মান হয়। বর্ণিতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়সমূহ সদয় বিবেচনা-পূর্ব পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।’

রাজউকের এ ধরনের চিঠি ধৃষ্টতা, নাকি অজ্ঞতাÑ সেটি আইনজ্ঞরাই বলবেন। ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪’ বলছে, এ ধরনের চিঠি আমলে নেয়ার কোনো এখতিয়ার কমিশনকে দেয়া হয়নি। আইনজ্ঞদের মতে, অনুসন্ধান-তদন্তে বাধা সৃষ্টি প্রশ্নে ‘দুদক আইন-২০০৪’ এর ১৯ ধারায় কমিশনকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের বিষয়টি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। আইনটির ১৯ (২) ধারায় বলা হয়েছেÑ ‘কমিশন, যেকোনো ব্যক্তিকে অনুসন্ধান বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত ব্যক্তি তাহার হেফাজতে রক্ষিত ওই তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন।’ ১৯(৩) ধারায় বলা হয়েছেÑ ‘কোনো কমিশনার বা কমিশন হইতে বৈধ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে উপধারা (১)-এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো ব্যক্তি বাধা প্রদান করিলে বা ওই উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত কোনো নির্দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তি অমান্য করিলে উহা দ-নীয় অপরাধ হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনূর্ধ্ব তিন বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের কারাদ-ে বা অর্থদ-ে বা উভয় প্রকার দ-ে দ-নীয় হইবেন।’

তদুপরি চিঠিতে উল্লিখিত তথ্যেও বিভ্রান্তি দৃশ্যমান। পূর্বাচলের প্লট কেলেঙ্কারির ঘটনায় হাসিনা, পরিবার সদস্য, স্বজনদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করেছে দুদক। আরো মামলা প্রক্রিয়াধীন। এজাহারগুলোর পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, মূল অভিযোগ-ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্লট বরাদ্দ দান। শেখ হাসিনা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে বেআইনিভাবে প্লট বরাদ্দ দেন রাজউক কর্মকর্তারা। হাসিনা পরিবারের সদস্যসহ মামলায় মোট আসামি ৪৭ জন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/৪২০/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। হাসিনা পরিবারের সদস্যের বাইরে রাজউকের অন্তত ১০ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলায় রয়েছেন অভিন্ন আসামি। একটি মামলায়ও ডেসপাস রাইডার কিংবা পিয়ন পর্যায়ের কাউকে আসামি করা হয়নি। আসামির তালিকায় সর্বনি¤œ পদধারী ব্যক্তিটি হচ্ছেন উপ-পরিচালক। দুদকের অনুসন্ধান-তদন্ত হচ্ছে প্রমাণভিত্তিক। সাক্ষ্য ভিত্তিক নয়। পিয়ন-ডেসপাস রাইডারদের কোনো স্বাক্ষর ফাইল থাকে না। তাই তাদের আসামিও করা হয়নি। অথচ হাসিনা অনুগত মিডিয়াগুলো এই মর্মে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে যে, হাসিনার সহযোগী রাজউক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলায় অফিস সহায়ক, ডেসপাস রাইডারদেরেও আসামি করা হয়েছে। আর এতেই নাকি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা।

রাজউকের আলোচিত এ চিঠিকে হাসিনা পরিবারের প্লট কেলেঙ্কারি ‘প্রমাণক সাক্ষ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মঈদুল ইসলাম। তার মতে, রাজউক ও গণপূর্তের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা নিশ্চয়ই আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। কার নির্দেশনায়, কিভাবে তারা প্লটগুলো বরাদ্দ দিলেনÑ সেটি বেরিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, আসামির নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয় পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ আইনে নেই। ২০০৯ সালে আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা’ বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহারের শত শত আবেদন দুদকে পড়েছিল। তৎকালীন কমিশন কিন্তু সেগুলো প্রত্যাহার করেনি। তবে তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত না হলে মামলা থেকে নিরপরাধ কর্মকর্তাদের নাম এমনিতেই বাদ যাবে। এ জন্য দরখাস্তের প্রয়োজন নেই।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, রাজউক হচ্ছে প্লট অ্যালটমেন্ট অথরিটি। অ্যালটমেন্ট রুলসে দেশ ও জাতি গঠনে কেউ বিশেষ অবদান রাখলে এ ধরনের বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা আছে। যাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা কারা? কী অবদান আছে তাদের দেশ-জাতি গঠনে? এসব বরাদ্দ-আবেদন বিবেচনার ক্ষেত্রে তৎকালীন রাজউক কর্মকর্তারা কি কোনো আপত্তি তুলেছিলেন? তাহলে তারা এসব বরাদ্দের জন্য দায়ী হবেন না কেন?

রাজউক চেয়ারম্যানের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুদকের উচিত এই চিঠি প্রদানকারীকে ১৯(৩) ধারায় আইনে আওতায় আনা। তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। রাজউক যে জুজুর ভয় দেখাচ্ছে এর মধ্যে হাসিনা এবং তার সহযোগীদের সুরক্ষা দেয়ার মতলব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তদন্তে সহযোগিতার পরিবর্তে দুর্নীতিবাজ রক্ষার চেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি ক্রিমিনাল মিসকন্ডাক্ট করেছে। সাঈদ আহমেদ/ ১৩৭০