বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে নিহত মো. মেহেদী হাসান খুনের মামলা নিচ্ছে না যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। গত ৬ মাসে একাধিকবার থানায় গেলেও মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শহীদ মেহেদী হাসানের মা পারভীন আক্তার।
রোববার থানায় মামলা নেয়াসহ তিন দফা দাবিতে ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকিউল্লাহ বাহার। উপস্থিত ছিলেন নিহত মেহেদীর মা পারভীন আক্তার।
তিন দফা দাবি জানিয়ে জাকিউল্লাহ বাহার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই পারভীন আক্তারের বড় ছেলে মেহেদী হাসান হত্যা মামলার এজাহারটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানায় এফআইআর হিসেবে নিতে হবে এবং প্রকৃত ছয়জন আওয়ামী লীগের গণহত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৭ জুলাই দায়েরকৃত যাত্রাবাড়ী থানা মামলা নম্বর-৮১(জিআর নং১৭৩২)-এর শতভাগ মিথ্যা ফাইনাল রিপোর্ট প্রত্যাহার করতে হবে এবং পুনরায় সরেজমিনে দ্রুত সরেজমিনে পুনঃতদন্ত করে ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত গুলিবর্ষণকারী ও গণহত্যাকারী পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক চার্জশিট আদালতে জমা দিতে হবে এবং জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আদেশমূলে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈষম্যবিরোধী সব বিপ্লবী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্বীকৃতি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ১৬ বছরের আওয়ামীপন্থি সুবিধাভোগী পুলিশদের বেছে বেছে বাদ দিন এবং সব বৈষম্য দূর করুন। তাহলেই পুলিশের মনোবল বাড়বে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচমাসের অধিক সময় হয়ে গেছে, পুলিশ বাহিনী এই পাঁচমাসে প্রকৃত গুলিবর্ষণকারী ও গণহত্যাকারী পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র বা চার্জশিট আদালতে জমা দেয়নি। এই ব্যর্থতার দায় ছাত্র-জনতার ওপর বর্তায় না। বিএনপি-জামায়াত মামলা বাণিজ্য করছে বলে বর্তমান আইজিপির একতরফা অভিযোগটি প্রেস-কনফারেন্স করে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান তিনি।