Image description

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আমরণ অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

রবিবার দুপুরে মহাখালীতে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাসেল।

তিনি বলেন, “অনশনে থাকা তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রস্রাব তৈরি হচ্ছে না। তিনজনের মধ্যে একজনের প্রস্রাব হচ্ছে না। কিডনিতে প্রস্রাব তৈরি করার জন্য যে প্রক্রিয়া থাকে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত তাদের হাসপাতালে পাঠানো দরকার।”

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে গত বুধবার বিকেল ৫টা থেকে অনশনে বসেন কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী। এরপর তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন যোগ দেন। এর মধ্যে গত শুক্র ও শনিবার কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেছেন।

 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত না কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

 

এদিকে অনশনের পাশাপাশি ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচিও পালন করছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় দুপুর ১২টা থেকে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের আমতলী সড়ক বন্ধ করে রেখেছেন তারা।

এর আগে শনিবার রাতে দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, জনভোগান্তি করতে চাই না, অল্প সময়ের জন্য গুলশান ও মহাখালী অবরোধ করে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।

 

শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, জনদুর্ভোগ তৈরি না করা ছাড়া রাষ্ট্র কথা বলতে চায় না, সরকারকে এ ধারা থেকে বের হতে হবে। আমাদের ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি চলবে।

 

তিতুমীর ঐক্যের মাহমুদ মুক্তার বলেন, মন্ত্রণালয়ের নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আমরণ অনশন কর্মসূচি চলমান থাকবে। পাশাপাশি তিতুমীর কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখা হবে।