বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ‘মাস্টারমাইন্ড’-এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ‘কে এই মাস্টারমাইন্ড? তাকে ধরিয়ে দিন। · নষ্টামী, ভণ্ডামি, নোংরামি ও কূটকৌশল অবলম্বনকারী, সকল ন্যক্কারজনক শয়তানি ও কুকর্মের মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী- এই মাস্টারমাইন্ড। · গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মূল হোতা - এই মাস্টারমাইন্ড। · ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন বিলুপ্তকারী - এই মাস্টারমাইন্ড। · গণতন্ত্র, নির্বাচনী পদ্ধতি ও মানুষের ভোটাধিকার ধ্বংসকারী - এই মাস্টারমাইন্ড। · নিরীহ ছাত্রজনতার গণহত্যাকারী - এই মাস্টারমাইন্ড। · মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী স্বনামধন্য, ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দলের সুনাম ও কৃতিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও সার্বিকভাবে ধ্বংসের নেপথ্যের নায়ক - এই মাস্টারমাইন্ড। · একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার কারিগর - এই মাস্টারমাইন্ড। · একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পুতুল ও গোলামে পরিণত করার মূল হোতা - এই মাস্টারমাইন্ড। মানবাধিকার ধ্বংসকারী এই মাস্টারমাইন্ডকে ধরিয়ে দিন।’
সোহেল তাজ তার স্ট্যাটাসে কারও নাম উল্লেখ না করলেও এই বিষয়ে আর কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তার ভক্তদের অনেকেই খুঁজছেন কে এই মাস্টারমাইন্ড? পোস্টটির কমেন্ট বক্সে বাকস্বাধীনতা নামের একজন লিখেছেন, ‘শুধু বিচার না হওয়ার জন্যই, তাদের কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হচ্ছে। জুলাইয়ে যারা ফেসবুকে ভয়হীন পোস্ট দিত। তারাও এখন দেয় না, দিলে তাদের বাড়িতে হুমকি আসে। বিশেষ করে জুলাইয়ে যারা, প্রথম সারিতে থেকে আন্দোলন করেছে। সবচেয়ে বেশি হতাশ বর্তমানে তারাই৷ শুধু বিচার না হওয়ার জন্য। জুলাই নিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা ছিলো, তার চিটেফুটাও দেখেনি মানুষ। বড়ই হতাশা জনক। ’