Image description

আপনি যদি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর, লেখক, শিল্পী বা উদ্যোক্তা হন, তবে আপনার সৃষ্টিকর্মের মেধাস্বত্ব সুরক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিশ্চয়ই জানেন। কপিরাইট একটি আইনি ব্যবস্থা, যা আপনার মৌলিক সৃষ্টিকর্মকে সুরক্ষিত রাখে এবং অন্য কেউ আপনার অনুমতি ছাড়া তা ব্যবহার, পুনঃপ্রকাশ বা বিক্রি করতে পারে না।

কপিরাইটের সংজ্ঞা

 

কপিরাইট হলো মৌলিক সৃষ্টিকর্মের মালিকানা বা সত্ত্বাধিকারী নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া। এটি সৃষ্টিকর্তাকে তার কাজের উপর একচেটিয়া অধিকার প্রদান করে, যার মাধ্যমে তিনি তার কাজের ব্যবহার, প্রকাশ, পুনর্মুদ্রণ, অনুবাদ, বিক্রয় ইত্যাদির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।

কপিরাইটের আওতায় আসতে পারে

- সাহিত্য বা যেকোনো লেখা  

- শিল্পকর্ম  

- সংগীত  

- চলচ্চিত্র  

- স্থাপত্য  

- আলোকচিত্র  

- ভাস্কর্য  

- নকশা  

- লেকচার  

- কম্পিউটার প্রোগ্রাম  

- সফটওয়্যার  

- ওয়েবসাইট  

- অ্যাপস  

- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজ বা আইডি (যেমন ফেসবুক পেজ, টিকটক আইডি, ইনস্টাগ্রাম পেজ, লিংকডইন, ইউটিউব চ্যানেল)  

অর্থাৎ, যা কিছু মৌলিকভাবে তৈরি করা হবে, সবকিছুই কপিরাইটের আওতায় আসতে পারে। আবার কপিরাইট হচ্ছে মেধা সম্পদের উপর যে সম্পদ উৎপাদনকারীর অধিকারের স্বীকৃতি। অর্থাৎ এর মাধ্যমে যিনি মালিক তার নামে মেধা সম্পদটি রেজিস্ট্রেশন হয়। মেধাস্বত্বের ইংরেজি পরিভাষা "কপিরাইট" বলতে আক্ষরিক অর্থে কোন মৌলিক সৃষ্টির "অনুলিপি তৈরির অধিকার" বোঝায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অধিকারগুলো সীমিত সময়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে। মেধাস্বত্ব বা কপিরাইটের আন্তর্জাতিক চিহ্ন হল (এতে ইংরেজি Copyright শব্দের আদ্যক্ষর ঈ-কে একটি বৃত্তের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে), এবং কিছু কিছু স্থানে বা আইনের এখতিয়ারে এটার বিকল্প হিসেবে © লেখা হয়।

কপিরাইট আইনের ইতিহাস

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পাকিস্তানী আমলের কিছু আইন ও অধ্যাদেশের আলোকে মেধাস্বত্ব রক্ষণের প্রচেষ্টা চলে। পরে কপিরাইট অফিস (প্রতিষ্ঠা-১৯৬৭) পুনর্গঠন ও ২০০০ সালে কপিরাইট বিষয়ে একটি আইন প্রণীত হয় যা ২০০৫ সালে সংশোধিত হয়। এরপর থেকে পৃথিবীর পরিবর্তনগুলো দ্রুত ঘটতে থাকে। মেধাস্বত্ব হরণের জন্য অতি চালাক মেধাস্বত্ব চোর বাংলাদেশের সৃজনশীল জগত যেমন: সিনেমা, গান, সৃজনশীল বই, নাটক ইত্যাদির মেধাস্বত্বর ক্ষেত্রে এক প্রবল চৌর্যবৃত্তির আখড়া গড়ে তোলে। পাইরেসি জেঁকে বসে আমাদের সংগীত, সিনেমা, বইসহ সৃজনশীল জগতে। ২০০০ সালের আইন দিয়ে মেধাস্বত্ব রক্ষণ দুরহ হয়ে পড়ে। চৌর্যবিত্তে নিয়োজিতদের চতুরতা ও তার্কয্য কর্ম সৃজনশীলদের মন ভেঙে দেয়। ২০১৭ সালে নতুন ও যুগোপযোগী কপিরাইট আইন প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন ও কর্ম শুরু হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় দীর্ঘসময় ক্ষেপণ করে সবপথ পাড়ি দিয়ে ২০০০ সালের কপিরাইট আইনকে রহিত করে ১৯টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনটি বলবৎ হয় (২০২৩ সনের ৩৪ নং আইন)। 

কেন কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন?

কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করে আপনি আপনার মেধা, স্বত্ব এবং সৃষ্টির আইনগতভাবে সুরক্ষিত করতে পারবেন এবং যেকোনো সমস্যা হলে আপনি আইনগত প্রতিকার পেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ফেসবুক পেজ বা টিকটক আইডির নাম বা কনটেন্ট কারো দ্বারা কপি বা নকল করা হয়, তবে বাংলাদেশের কপিরাইট আইন অনুসারে রেজিস্ট্রেশন আপনাকে আইনগতভাবে সাহায্য করবে। 

কপিরাইট হলো মৌলিক সৃষ্টিকর্মের স্বত্বাধিকার। এটি সৃষ্টিকর্তাকে তার কাজের উপর একচেটিয়া অধিকার প্রদান করে, যার মাধ্যমে তিনি তার সৃষ্টির ব্যবহারের, প্রকাশের, বিক্রয়ের বা পুনঃপ্রকাশের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।

কপিরাইট নিবন্ধন করার পদ্ধতি

তথ্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক ডিজিটাল কর্ম যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফেসবুক পেজ, টিকটক আইডি, ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রাম পেজ, অ্যাপস, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, সাহিত্য বা যেকোনো লেখা, শিল্পকর্ম, সংগীত, চলচ্চিত্র, স্থাপত্য, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, নকশা, লেকচার, গান, অডিও, ভিডিও, বই কপিরাইট আইনের আওতায় নিবন্ধন করা যাবে। কপিরাইট নিবন্ধন করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

কপিরাইট নিবন্ধন করতে যা যা প্রয়োজন

১) অনলাইনে আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন

   প্রথমে কপিরাইট অফিসের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন।

২) আবেদনপত্র পূরণ করুন

   যে বিষয়টি কপিরাইট করতে চান তার বিস্তারিত বিবরণ, স্বত্ব কার নামে হবে, শর্তসমূহ ইত্যাদি তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূর্ণ করুন। 

৩) ডিজিটাল কর্মের স্ক্রিনশট নিন

   ফেসবুক পেজ, টিকটক, ইউটিউব চ্যানেল, ইনস্টাগ্রাম পেজের স্ক্রিনশট নিয়ে রঙিন প্রিন্ট করে তার উপর সত্ত্বাধিকারী নিজ হাতে স্বাক্ষর করুন।  

   পেজটির প্রকাশনার তারিখ, পেজের নাম, লিংক, নাম ঠিকানা এবং ইমেইল আইডি লিখুন।  

  সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, অ্যাপসের ক্ষেত্রেও প্রথম পাতা ও আপডেট করা ডোমেনের স্ক্রিনশট নিয়ে ৩ কপি রঙিন প্রিন্ট করে তার উপর সত্ত্বাধিকারীর নিজ হাতে স্বাক্ষর করবেন।  

৪) স্বত্বাধিকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি

   স্বত্বাধিকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে।

একক প্রতিষ্ঠান হলে চলতি বছরের ট্রেড লাইসেন্স কপি, যৌথ হলে পার্টনারশিপ ডিড এবং কোম্পানি হলে মেমোরেন্ডাম এর কপি জমা দিতে হবে।

৫) পাণ্ডুলিপি বা বইয়ের জন্য

   বইয়ের ক্ষেত্রেও দুটি কপি জমা দিতে হবে।

৬) ফি প্রদান করুন

   কপিরাইট নিবন্ধন করতে ট্রেজারি চালান এর মাধ্যমে ফি প্রদান করুন। কপিরাইট নিবন্ধন ফি কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন হতে পারে।

৭) হস্তান্তর দলিল

   মালিকানার ক্ষেত্রে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হস্তান্তর দলিল দাখিল করতে হবে।

৮) অঙ্গীকার নামা

   কর্মটি নিয়ে কোন মামলা-মোকদ্দমা বিচারাধীন নেই এবং এর তথ্য নির্ভুল মর্মে কার্টিজ পেপারে অঙ্গীকার নামা জমা দিতে হবে।

৯) আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন

   যদি আপনি আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদনপত্র দাখিল করতে চান, তবে আবেদনপত্রের সঙ্গে ক্ষমতাঅর্পণ পএ বা ওকালতনামা দাখিল করতে হবে।

১০) কপিরাইট অফিসে জমা দিন

আইনজীবীর মাধ্যমে বা প্রতিনিধি বা নিজে কপিরাইট অফিসে আবেদনপত্রটি অনলাইনে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ সরাসরি হার্ড কপি জমা দিন।

এই সব পদক্ষেপ অনুসরণ করে আপনি আপনার ডিজিটাল বা মৌলিক সৃষ্টিকর্মটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং সুরক্ষা পেতে পারেন।

কপিরাইটের মেয়াদ

কপিরাইটের নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে, যা সৃষ্টিকর্মের প্রকারভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। কপিরাইটের মেয়াদ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হলো:

১) ডিজিটাল ও তথ্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক কপিরাইট

   যেমন সফটওয়্যার, অ্যাপস, ওয়েবসাইট, ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ, আইডি ইত্যাদি এই ধরনের কপিরাইটের মেয়াদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকে।

২) সাহিত্য, চলচ্চিত্র, নাটক, শব্দধ্বনি, সংগীত ও শিল্পকর্মের কপিরাইট 

   এই ধরনের কপিরাইট সাধারণত সৃষ্টিকর্তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরবর্তী ৬০ বছর পর্যন্ত থাকে।  

   যেমন কবি, পরিচালক, লেখক ইত্যাদির সৃষ্ট কাজের কপিরাইট তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পর ৬০ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকে।

৩) চলচ্চিত্র বা আলোকচিত্রের কপিরাইট

   চলচ্চিত্র বা আলোকচিত্রের ক্ষেত্রে, প্রকাশিত হওয়ার পরবর্তী বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত কপিরাইট সুরক্ষিত থাকে।

মেয়াদের শুরু

কপিরাইটের মেয়াদ সাধারণত ৬০ বছর, তবে কখন থেকে এটি শুরু হবে, তা সৃষ্টির প্রকারভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। 

কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলা যেভাবে করতে হবে

কেউ যদি কোনো সৃষ্টিকর্মের মালিকানা বা স্বত্বাধিকারী, লেখক বা প্রণেতার কোনো সৃষ্টিকর্ম নকল করে,পাইরেসি করে, কপিরাইট সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অধিকার লঙ্ঘন করে,কোনো তথ্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক ডিজিটাল কর্ম লঙ্ঘন করে, অবিকল নকল প্রচার ও প্রকাশ করেন তাহলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এবং  প্রশাসনিক উভয় প্রতিকারগুলো চাইতে পারবেন। 

দেওয়ানি প্রতিকার

দেওয়ানি প্রতিকার সম্পর্কে কপিরাইট আইন ২০২৩ এর ৭৭ ধারায় বলা হয়েছে কোন কর্মের বা অনুরূপ অন্য অধিকারের স্বত্ত্বাধিকারী এই আইনে নিষেধাজ্ঞার ও ক্ষতিপূরণের হিসেবে অন্যান্য প্রতিকার চাওয়া যাবে। 

ফৌজদারি প্রতিকার

এছাড়াও সংক্রুদ্ধ  কপিরাইট মালিক ফৌজদারি প্রতিকার পেতে পারেন। ফৌজদারি প্রতিকার সম্পর্কে কপিরাইট আইন ২০২৩ এর  ৮৪ ধারায় শাস্তি হিসেবে অনধিক ৪ বৎসর কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫ (পাঁচ লক্ষ ) টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে কপিরাইট ভঙ্গকারী।

কপিরাইট আইন ২০২৩ এর ১০০ ধারায় তথ্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক ডিজিটাল কনটেন্ট লঙ্ঘনের সাথে সম্পর্কিত। এই ধারাটি বলে, যদি কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো কপিরাইটযুক্ত কাজের অনুলিপি তৈরি, ব্যবহার, প্রকাশ, বিক্রয় বা বিতরণ করেন, তবে সেটি একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর জন্য শাস্তিস্বরূপ:

- কারাদণ্ড: অনধিক ৪ (চার) বছর।

- অর্থদণ্ড: অনধিক ৪ (চার) লক্ষ টাকা।

এই আইন ডিজিটাল কনটেন্ট এবং প্রযুক্তির সুরক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যাতে কপিরাইট মালিকেরা তাদের সৃষ্টির নিরাপত্তা এবং স্বত্বাধিকার ভঙ্গের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন। মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) মাধ্যমে কপিরাইট আইনের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি দেওয়া যাবে। এজন্য "মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯" এর তফসিলে " কপিরাইট আইন ২০২৩" এর ১৪টি ধারা যুক্ত করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এদিকে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কপিরাইট আইনের ৮৬, ৮৭, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ১০১ ও ১০৫ ধারার অপরাধের শাস্তি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দেওয়া যাবে।

প্রশাসনিক প্রতিকার

কপিরাইট আইন ২০২৩ এর ১২০ ধারার  অধীনে কপিরাইট রেজিস্টার ও কপিরাইট বোর্ডকে দেওয়ানি আদালতের ন্যায় নিম্নোক্ত ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। কপিরাইট লাইসেন্স বা স্বত্ব নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিরোধ দেখা দিলে বোর্ড তা বাতিল করণসহ অন্যান্য প্রতিকার প্রদান করতে পারে।

কপিরাইট আইনের মূল লক্ষ্য হলো একটি  সমৃদ্ধ, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, লেখক, শিল্পী, ব্যবসায়ী, এবং অন্যান্য সৃজনশীল ক্ষেত্রের ব্যক্তিরা তাদের কপিরাইট অধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন। যখন তাদের স্বত্ব সুরক্ষিত হয়, তখন তারা আরও নতুন উদ্ভাবন এবং সৃষ্টির জন্য বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে। 

এটি উদ্যোক্তাদের ও সৃষ্টিকর্মীদের নতুন উদ্ভাবন,সৃষ্টির ও মেধা স্বত্ত্বের জন্য প্রেরণা জোগাবে এবং তাদের মেধা ও সময় আরও বেশি নিবেদিত হতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্মের বাজার আরও বৈচিত্র্যময় এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। এভাবেই, কপিরাইট আইনের মাধ্যমে সৃজনশীল কার্যক্রম ও অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যার ফলে সমাজে উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। কপিরাইট আইন সৃজনশীলতার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি উদ্ভাবক, লেখক, শিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের তাদের মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে নতুন সৃষ্টির জন্য প্রেরণা জোগায়।

লেখক: মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, প্রতিষ্ঠাতা, ফাইন্ড মাই এডভোকেট, Email: [email protected]