Image description
 

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন তার ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু ।

পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টায় পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুলকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় । পর দিন সকালে পুলিশ ফোন করে জানায়, তৌহিদুল আহত অবস্থায় গোমতী নদীর পাড়ে পড়ে আছে। সেখান থেকে পুলিশ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, তৌহিদুল কুমিল্লা আদর্শ সদর পাঁচথুবী ইউনিয়ন ইটাল্লা সরদার বাড়ী মোখলেছুর রহমান সরদার এর ৩য় ছেলে। তার ৪ মেয়ের মধ্যে দুই জন কোরআনের হাফেজ। নিহত যুবক চট্টগ্রাম আরকু কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। তৌহিদুল ইসলামের বাবা মারা যান, গত ২৬ জানুয়ারি। তার কুলখানি ছিল শুক্রবার। এর আগেই তৌহিদুলের লাশ উদ্ধার হল।

তৌহিদুল ইসলামের ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু বলেন, গতরাত আড়াইটায় যৌথবাহিনীর ও সিভিল পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায় । শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় যৌথবাহিনী আমার ভাইকে সহ আরেকজনকে নিয়ে বাড়িতে এসে এক ঘণ্টা যাবৎ বাড়ির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালায় । তল্লাশির পরে কোনো অস্ত্র না পেয়ে আমার ভাইকে আবারো তারা নিয়ে যায় । দুপুর বারোটার দিকে পুলিশ আমাদেরকে ফোন করে বলে গোমতী বিলাসের কাছে আমার ভাই পড়ে আছে আহত অবস্থায় । আপনারা হসপিটালে আসেন আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি । আমরা প্রথমে কুমিল্লা সদর জেনারেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাই। চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে রেফার করে । কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে আনার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে ।

তিনি আরো বলেন, জমি নিয়ে পাশের বাড়ির তানজিল ইসলামের সাথে ৪-৫ দিন আগে আমাদের একটু ঝামেলা হয়েছিল। ওরা বাপ চাচারা তিন চারজন। ফজলুর রহমান ও মুক্তর রহমান এর ছেলেদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছিল ।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, তৌহিদুল ইসলাম খুব ভালো ছেলে। ধার্মিক ছিল । পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের কারণে তার পাশের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করে। এই কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তৌহিদুল ইসলামের লাশের উপর নির্যাতন হয়েছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক বলেন, তৌহিদুল ইসলাম খুব ভালো ছেলে। তার নামে থানায় কোনো মামলা নেই। তার দুই মেয়ে হাফেজ। এভাবে একজন ভালো ছেলেকে হত্যা মেনে নেয়া যায় না।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ কে একাধিক বার ফোন করে পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন, যৌথ বাহিনী আমাদের সকাল এগারোটায় জানায়, গোমতী নদীর গোমতী বিলাসে একজন আহত অবস্থায় আছে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।