দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে ১৯.২ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ প্রতি পাঁচজনের একজন দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। এ ছাড়া দেশে সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষ বাস করে বরিশাল বিভাগে। বিভাগটিতে দরিদ্র মানুষের হার ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ১৫ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র মানুষের বাস চট্টগ্রাম বিভাগে। সবচেয়ে বেশি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায় ৬৩.২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে এবং সবচেয়ে ধনী এলাকা ঢাকার পল্টন।
গতকাল রাজধানীর বিআইসিসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পোভার্টি অ্যান্ড লাইভলিহুড স্ট্যাটিসটিকস সেল এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও বিবিএসের যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। শহরে দারিদ্র্যের হার সাড়ে ১৬ শতাংশ হলেও গ্রামে সেটি ২০ শতাংশের বেশি। তবে বিবিএসের ‘খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২’ অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে দারিদ্র্যের হার বেশি।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের সবচেয়ে গরিব মানুষের বসবাস বরিশালে। এর মধ্যে বরিশালে গ্রামে বসবাসকারীদের ২৮ দশমিক ১ শতাংশ আর শহরে বসবাসকারীদের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ দরিদ্র। চট্টগ্রামে এ হার গ্রামে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ এবং শহরে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বরিশালের পরই বেশি দরিদ্র মানুষ ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মাদারীপুর জেলায়, ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম দরিদ্র নোয়াখালী জেলায়, ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর উপজেলা হিসেবে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ দরিদ্র নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মাদারীপুরের ডাসার। এ সময়ে কমেছে রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে দারিদ্র্যের হার।
