বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার মনোনীত আসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে একরকম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দিনাজপুর- ৩ (সদর), ফেনী-১ ও বগুড়া-৭ (গাবতলী) এ তিনটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এই নেত্রী। তার মৃত্যুতে আসনগুলোতে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে।
এই তিন আসনে বিএনপির একজন করে বিকল্প প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া মারা যান।
গতকাল সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে পারেন।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, এমন কোনো বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর মৃত্যু হলে ওই আসনে নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তিনটি আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র জমা হলেও তিনি বা কেউ এখনো বৈধ প্রার্থী হননি। কারও মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে টিকে যাওয়ার পর তিনি বৈধ প্রার্থী বিবেচিত হন। খালেদা জিয়া মারা যাওয়ায় তার মনোনয়ন স্থগিত থাকবে।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, বৈধভাবে মনোনীত ঘোষণার পর কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সেখানে আবার তফসিল ঘোষণা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেটা করতে হবে না।
এই তিনটি আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি। আইনের কথা উল্লেখ করে ইসি মাছউদ বলেন, কোনো আসনে কোনো দল একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে পারে। তবে একাধিক প্রার্থী থাকলে শেষ পর্যন্ত (প্রতীক বরাদ্দের আগে) যার নামে দল থেকে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেওয়া হয়, তিনিই দলীয় প্রার্থী হন।
সব মিলিয়ে এই তিন আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করার প্রয়োজন হবে না বলে মনে করছেন আবদুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তফসিলে পরিবর্তন আনার কোনো সুযোগ বা প্রয়োজন নেই।