রাজবাড়ীতে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে একটি তুলার কারখানা। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান খারখানার মালিক।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১ টার দিকে রাজবাড়ী পৌরসভার নুরপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কারখানার মালিক ইমরান হোসেন কাজল বলেন, ২০১৯ সালে এই কারখানাটি গড়ে তুলি। বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির বাতিল হওয়া টুকরা কাপড় এনে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখানে তুলা তৈরি করা হতো। সেই তুলা জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নিয়ে যেত। প্রতিদিনের মত কারখানা বন্ধ করে কর্মচারীরা বাড়িতে চলে যায়। রাত দুইটার দিকে এই এলাকার লোকজন আমার বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করে বলে আমার কারখানায় আগুন লেগেছে।
আমি এসে দেখি কারখানায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। এরপর আমি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই। পরে তারা এসে প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই কারখানা বন্ধের আগে বৈদ্যতিক শটসার্কিট বন্ধ করে যাওয়া হয়। শটসার্কিট থেকে এই আগুন লাগার কোন সুযোগ নেই। কেউ পরিকল্পিতভাবে এই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এখানে নিয়মিত ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক কাজ করতো। আমার পাশাপাশি তারাও এখন ক্ষতিগ্রস্ত।
শনিবার দুপুরে কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে সব ছাই হয়ে গেছে। এখনো সেখান থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া টিন একপাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে। কারখানার চারপাশে বিভিন্ন ধরণের গাছও পুড়ে গেছে।
এলাকার মানুষ পুড়ে যাওয়া কারখানা দেখতে ভীর জমিয়েছে। পুড়ে যাওয়া কারখানা থেকে কিছু লোহার যন্ত্রাংশ খুলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর আলী বলেন কয়েক বছর আগে এই কারখানাটি গড়ে ওঠে। এখানে এলাকার ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক কাজ করত। রাতে আগুন লাগার কথা জানতে পেরে এখানে আসি। এসে দেখি পুরো কারখানা জুড়েই আগুন লেগে গেছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করে।
স্থানীয় লোকজনও আগুন নেভাতে সহযোগিতা করে। কারখানা পুড়ে যাওয়াতে একদিকে মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্যদিকে শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেল।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারি পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দমকল বাহিনী কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
শীর্ষনিউজ