Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাঁরা ভোটের মাঠ সুন্দর এবং আচরণবিধি ঠিক রাখতে কাজ করবেন।

আচরণবিধি দেখার পাশাপাশি দায়িত্ব পাওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনি এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। ইতোমধ্যে অনেক ম্যাজিস্ট্রেট কাজ শুরু করছেন। ভোটের মাঠে কার কত ম্যাজিস্ট্রেট লাগবে, জনপ্রশাসনে তার তালিকা পাঠাচ্ছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। ডিসিদের চাহিদাপত্রের পর আরও নিয়োগ পেলে ভোটের মাঠে বেড়ে যাবে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা। বর্তমান কর্মরতদের পাশাপাশি সারা দেশে আরও ২ শতাধিক নির্বাহী হাকিম নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় ১১ ডিসেম্বর। পর দিন থেকেই মাঠে নামেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন। এখন যাঁরা নিয়োগ পাচ্ছেন বা পাবেন, তাঁরাও ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে প্রতিটি জেলায় দায়িত্বরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার বাইরে আরও কর্মকর্তা দরকার কি না, সে তথ্য জানতে সব ডিসিকে বার্তা পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে জেলার পরিস্থিতি বুঝে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠাচ্ছেন ডিসিরা। ইতোমধ্যে অন্তত ১০ জেলা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলায় বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরে কর্মরত ২০ জনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দায়িত্ব পাওয়া ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর ৫ ধারায় নিয়োগ পাচ্ছেন। তাঁরা ভোটে আচরণবিধি দেখবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যে দায়িত্ব দেবেন তা পালন করবেন। প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙ্গ হলে ব্যবস্থা নেবেন। তবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য প্রতিদিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্ধারিত ছকে জানাতে হবে। এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দিন থেকে দেশের প্রতিটি উপজেলা ও থানায় দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয় ইসি। উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।