আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে স্বাভাবিকের বাইরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভোটের আগে ও পরে মোট ৫ দিন মোতায়েনের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ পরিপত্র’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোটের পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
পরিপত্রে ‘নির্বাচনকালীন মোতায়েনের বিষয়ে বলা হয়েছে: আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ছাড়া সকল বাহিনী ভোটের সময় ৫ দিন (নির্বাচন পূর্ব ৩ দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী ১ দিন) মোতায়েন থাকবে। আনসারদের জন্য এ সময় হবে ৬ দিন (নির্বাচন পূর্ব ৪ দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী ১ দিন)। এ সময়কালের মোতায়েনের জন্য কমিশন প্রচলিত নিয়মে বাজেট বরাদ্দ করবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়।
এ ছাড়া পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে পৌনে ১৩ কোটি ভোটার রয়েছে। ৩০০ আসনে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৬০ হাজারের মতো ভোটকক্ষ থাকবে। প্রাথমিক সভায় ভোটের আগে-পরে ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব আসে এবং ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৩ থেকে ১৮ জন সদস্য রাখার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ লাখের বেশি সদস্য ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সংখ্যাই হবে সাড়ে ৫ লাখের মতো।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ছাড়া সকল বাহিনী ভোটের সময় ৫ দিন (নির্বাচন পূর্ব ৩ দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী ১ দিন) মোতায়েন থাকবে। আনসারদের জন্য উক্ত সময় হবে ৬ দিন (নির্বাচন পূর্ব ৪ দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী ১ দিন)। এই সময়কালের মোতায়েনের জন্য কমিশন প্রচলিত নিয়মে বাজেট বরাদ্দ করবে।
স্থায়ী মোতায়েন
কেন্দ্র অধিক্ষেত্রভিত্তিক (শুধুমাত্র ভোটের সময়কালে ৫ দিনের জন্য বিশেষ মোতায়েন)। স্থায়ী/অস্থায়ী চেক পোস্ট (তফসিল ঘোষণার পর থেকে সম্পূর্ণ সময়ের জন্য)।