Image description

যুবদল নেতা আরিফ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বিথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারা ফারজানা হক এ আদেশ দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) খাদিজা ইয়াসমিন বিথীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ওইদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য রাখেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান। প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ রেজা এসব তথ্য জানান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়েদ গোলাম মুর্তুজা ইবনে ইসলাম আসামির রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। আদালতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বড় বড় সমস্যাগুলো যেখানে হয়েছে সবখানে মেয়েরা আছে। হাদির মামলার ক্ষেত্রেও আছে। শুনানিতে এ আইনজীবী বলেন এ আসামির বাবা (সুব্রত বাইন) কোথায় কোথায় অপরাধ করেছেন সে সম্পর্কে মেয়ে জানতেই পারে। সে ক্ষেত্রে রিমান্ডে নিলে জানা যাবে।

এর আগে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে বিথীকে গ্রেফতার করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার মেয়ে খাদিজা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুব্রত বাইন ও আসামি খাদিজার প্রত্যক্ষ প্ররোচনা এবং পরিকল্পনায় আরিফকে হত্যা করা হয়। আরিফ সিকদারের মৃত্যুর ঘটনায় খাদিজা জড়িত ছিল বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে, গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে যুবদল নেতা মো. আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল তিনি মারা যান। আরিফ সিকদার ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আরিফ মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ মামলায় সুব্রত বাইনকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।