Image description
 
 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, ‘চারদিকে ছড়িয়ে আছে লাখ লাখ হাদি ও নাবিলা। তারা ভয় পায় না। আমিও না। হাসিনা আর আসাদুজ্জামান খান কামাল—বাংলার কসাইরা—আর কজনকেইবা হত্যা করতে পারবে?’

 

ফেসবুক পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘আজ আমার এ দায়িত্বের ১৬ মাস পূর্ণ হলো। লেখার মতো মন-মানসিকতা ছিল না, কিন্তু গতকালের নৃশংস গুলির ঘটনার পর থেকে ওসমান হাদি আমার চিন্তা ও দোয়ার মধ্যে রয়েছে। আমার স্ত্রী, সন্তানরা এবং ভাইবোনেরা আমার নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। তারা চায় আমি যেন বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করি এবং নির্বাচনের আগে আমার কণ্ঠস্বর একটু নরম করি। তারা ভয় পাচ্ছে। সত্যি বলতে, আমি ভয় পাচ্ছি না।’

তিনি লিখেন, ‘আমি বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করি, আর যেখানে যাই, সেখানেই দেখি লাখো হাদি। হাসিনা আর আসাদুজ্জামান খান কামাল—বাংলার কসাইরা—আর কজনকেইবা হত্যা করতে পারবে? এই দেশের রাজনীতির হাল ধরেছে এক নতুন প্রজন্ম। তারা এক স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছে, কিন্তু তাদের মিশন এখনো শেষ হয়নি।’

 

তিনি আরও লিখেন, ‘যতদিন এই প্রজন্ম—এই কোটি কোটি হাদি—নিজেদের অবস্থান ছাড়তে অস্বীকার করবে, ততদিন আমার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আশা হারানোরও কোনো কারণ দেখি না। আনাসের মতো, যে শহীদ হওয়ার আগে তার মায়ের কাছে হৃদয়বিদারক একটি চিঠি লিখেছিল, এই তরুণরাও তাদের পরিবারকে প্রতিজ্ঞা করেছে—দেশটা ঠিক না করা পর্যন্ত তারা থামবে না।’

 

পোস্টে তার দৃঢ় বিশ্বাসের কথা জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘আগামী কয়েক দশকে বাংলাদেশ পথ হারাবে না। সামনে ধাক্কা থাকবে। শক্তিশালী বিদেশি ও দেশি শক্তি সাময়িকভাবে দেশের ইঞ্জিন বিকল করার চেষ্টা করবে। কিন্তু এই তরুণরা ভয় পায় না। তারা গন্তব্যে পৌঁছাবেই।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই ও আগস্টে আমরা হারিয়েছি আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, আনাস, আহনাফ, ফাইয়াজ, দীপ্ত দে, নাইমা ও রিয়া গোপেকে। বিদেশি চাপিয়ে দেওয়া এক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামে আমরা হারিয়েছি আবরার ফাইয়াজকেও। তবু চারদিকে ছড়িয়ে আছে লাখ লাখ হাদি ও নাবিলা। তারা ভয় পায় না। আমিও না।’