কাঙ্ক্ষিত মাশুল আদায় করতে না পেরে বৃহস্পতিবার থেকে অঘোষিত ধর্মঘটে যাচ্ছে বেসরকারি অফডকগুলো।এর অংশ হিসেবে তারা রপ্তানি ও খালি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং থেকে বিরত থাকবে।
তাদের অঘোষিত ধর্মঘটের কারণ দেশের রপ্তানি খাত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারি অফডকগুলোর সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা ধর্মঘটের ডাক দেননি, তবে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করবেন না এটা ডিপো মালিকরা বলে দিয়েছেন।
চট্টগ্রামে বিকডার অধীন ১৯টি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো অপারশনাল কার্যক্রমে রয়েছে।
ডিপোগুলোতে রপ্তানিমুখী পণ্য কন্টেইনারে তোলার পর জাহাজীকরণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। আমদানি করা ৬৫ রকমর পণ্যের কন্টেইনারও বন্দর থেকে ডিপোতে নিয়ে খালাস করা হয়। খালি কন্টেইনারও তারা হ্যান্ডলিং করে।
বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন শিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৩ বছর ধরে একই মাশুলে আমরা কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করছি। মালিকদের এখন খরচে পোষাচ্ছে না বলে তারা বন্ধ রাখবেন বলেছেন।তারা লস দিয়ে ডিপো চালাবেন না বলে জানিয়েছেন।”
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ডিপোগুলো রপ্তানি ও খালি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করবেন না। তবে আমদানি কন্টেইনারের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
বন্দরের নতুন শুল্ক আরোপের আগে ডিপোগুলো কন্টেইনার স্টাফিং, গ্রাউন্ড রেন্ট, লিফট অফ-লিফট অন, ডকুমেন্টেশন এবং বন্দর থেকে অফডকগামী যানবাহনের পরিবহন মাশুল বাড়ানোর ঘোষণা দয়। কিন্তু বন্দর ব্যবহারকারীরা তাতে আপত্তি জানায়। পরে এক ব্যবসায়ীর রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধিত মাশুল আদায় বন্ধ রাখে অফডকগুলো।
তৈরি পাশাক মালিকদর সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্টস বা ফ্রেইট ফরোর্যাডারদের আগে থেকে ডিপো থেকে কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে জানানো হয়নি।
বিজিএমইএ এর সাবক প্রথম সহ-সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৈরি পোশাক খাত। তারা আমাদের সাথে কথা না বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। তারা সেটা মানেনি।”
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতের স্থগিতাদেশ থাকলেও সকলে মিলে আলোচনা করে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। কিন্তু ডিপো মালিকরা সেপথে না গিয়ে বন্ধ করার ঘোষণা দিলেন।”
এ সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দাবি করে তিনি বলেন, “তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ কনসাইনমেন্ট আটকে আছে। এসব নতুন বছর বা বড়দিনের আগে ডেলিভারি দিতে না পারলে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।”