Image description
 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুইটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে দুইজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী এলাকার মো. হোসেনের ছেলে আলি হোসেন ও লেমুতলী নামক এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে আরিফ উল্লাহ। 

Kiswan

বিস্ফোরণে আলী হোসেনের বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও আরিফ উল্লাহর মুখমন্ডলে গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে দুইজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানায়, বিস্ফোরণে আহত দুইজনেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়েছিল। সেখানে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। প্রথমে সকাল ৬টার দিকে মাইন বিস্ফোরণের আলী হোসেন আহত হন। পরে সকাল ১০টার দিকে আরেকটি মাইন বিস্ফোরণে আরিফ উল্লাহ আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, খবর পেয়ে আহত আলী হোছেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। মাইন বিস্ফোরণের ঘটনার পরে সীমান্তে বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক জানান, সকাল ৬টা থেকে ৭ টার দিকে একটি ও ১০টার দিকে একটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়েছে শুনেছি। সকাল ৬টার দিকে যে মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে এতে একজন আহতে খবর পেয়েছি। ১০টার দিকে মাইন বিস্ফোরণের আহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি। 

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৬টার দিকে একটি ও ১০টার দিকে আরেকটি মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত এখনও পাওয়া যায়নি। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।