Image description

জনগণ কী ধরনের নির্বাচন চায়, তা না জেনে নির্বাচনে যেতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ‘আ কনভারসেশন উইথ মুহাম্মদ ইউনূস’ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


প্রধান উপদেষ্টা জানান, সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট এলে জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। কমিশনের যেসব সুপারিশ গ্রহণ করা হবে, শুধু সেগুলোই বাস্তবায়ন করা হবে। সব দল ও নাগরিক সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই চার্টার করা হবে।

তিনি বলেন, ‘জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ আমাদের কর্মপন্থা শুরু করব। জনগণ কী ধরনের নির্বাচন চায়, সেটা জানা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না।'
ড. ইউনূস বলেন, “যদি আমরা সংক্ষিপ্ত ধরনের সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করি, সেক্ষেত্রে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের টার্গেট করেছি। কিন্তু যদি জনগণ বলে 'না না আমরা বড় পরিসরে সংস্কার চাই', সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন আরও ছয় মাস। সেক্ষেত্রে জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা স্বল্প নাকি বড় ধরনের সংস্কার চান। বড় ধরনের সংস্কার হলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি, আর ছোট ধরনের সংস্কার হলে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হবে। সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি।’

বাংলাদেশের তরুণরা মানবেতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী  প্রজন্ম দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তরুণদের বলেছি, তোমরা পুরনো প্রজন্মকে ফলো করো না। আমরা অনেক ভুল করেছি।’

ভোটার হওয়ার বয়স নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটার হওয়ার বয়স ‌১৮। আমি পরামর্শ দিয়েছি, ভোটারের বয়স ১৬ হওয়া উচিত। কারণ, আমাদের তরুণরা খুবই ম্যাচিউরড। ১৬ আর ১৮-র মধ্যে তফাত কী! কে বলেছে, ১৮ বছর যা জানে, তা ১৬ বছর বয়সিরা জানে না।’