নির্বাচন কমিশনের প্রশ্রয় পেয়ে ছাত্রদল আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘অদম্য জবিয়ান’ প্যানেলের ভিপি এবং শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও জকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তোলেন।
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের একপাক্ষিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পর থেকে ছাত্রদল ও তাদের সমর্থিত প্যানেল একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রম দেখলে মনে হয় যেন তাদের ফেরানোর মতো কেউ নেই। ২৩ নভেম্বরের কনসার্টে নির্বাচন কমিশন অনুমতি দিলেও সেখানে কঠোরভাবে উল্লেখ ছিল—কোনো প্রার্থী স্টেজে উঠতে পারবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদপ্রার্থী এবং হল সংসদের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী স্টেজে উঠে বক্তব্য দেন। এমনকি জিএস পদপ্রার্থী সবার সামনে অর্থ প্রদানের ঘোষণাও দেন। যা কমিশনের প্রদত্ত নীতিমালার ৩ নম্বর শর্তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এই আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা দেখে জবিয়ানরা পুরোপুরি হতাশ হয়েছে। কমিশন শুধু দুইজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এবং ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। জবাব দেওয়ার জন্য যদি কমিশন ১৫ দিনের সময় নেয়, তাহলে ব্যবস্থা নিতে তাদের আরও অনেক সময় লাগতে পারে।
রিয়াজুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা মনে করছি, নির্বাচন কমিশন এখানে সুস্পষ্টভাবে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে কাজ করছে, যা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার পথে বড় বাধা। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের কল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং উপহার প্রদানের শেষ দিন ছিল। কিন্তু এই নিয়ম ভঙ্গ করে ১৬ নভেম্বর ছাত্রদল ১২ তারিখে পাঠানো প্লেট ও গ্লাস হল ক্যান্টিনে বিতরণ করে।
এছাড়া ১২ নভেম্বর রাত ১২টার পর ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী ও তার সহযোগীরা মিলে চেয়ার সিটিং ও কুইজ আয়োজন করেন, যা চলে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত। একই সঙ্গে তারা উচ্চ শব্দে হলের ভেতরে গান বাজায়, যা নির্বাচনী আচরণবিধি এবং হলের স্বাভাবিক নিয়ম বহির্ভূত।
তিনি বলেন, ২৪ তারিখ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্যানেল ও প্রার্থীদের মিটিংয়ে উপস্থিত সকল প্যানেলের মধ্যে কেবল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ছাড়া বাকি সব প্যানেল এবং অধিকাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীই ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মত দেন। কিন্তু গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পুরোপুরি উল্টো বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্রশিবির ছাড়া সবাই নাকি নির্বাচন পেছানোর পক্ষে মত দিয়েছে, যা সুস্পষ্ট মিথ্যাচার। ছাত্রশক্তি সমর্থিত প্যানেল ও মাওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলও নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে।