সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত (সামরিক-বেসামরিক) ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব (নার্সিং শিক্ষা) ফারজানা মান্নান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।’
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সভায় আগামী ২৩ জানুয়ারি নার্সিং পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওইদিন অন্য কোনো পরীক্ষা কিংবা কোনো ইস্যু রয়েছে কি না সেটি দেখা হচ্ছে। কোনো সমস্যা না থাকলে ২৩ জানুয়ারি নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
আবেদনের সম্ভাব্য যোগ্যতা
আবেদনকারীকে ২০২৩, ২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি/সমমান এবং ২০২১, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হওয়া লাগতে পারে। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষার মধ্যে ব্যবধান কোনোভাবেই ৩ বছরের অধিক না হওয়ার শর্ত থাকতে পারে।
ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আসনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী ভর্তি করা যাবে। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থী আবেদনের যোগ্য হবে।
পরীক্ষার সম্ভাব্য বিষয়ভিত্তিক নম্বর
বিএসসি ও ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য পৃথক পৃথক প্রশ্নপত্রে ১ ঘণ্টার ১০০ (একশত) নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হতে পারে। (ক) বিএসসি ইন নার্সিং: বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, গণিত-১০, বিজ্ঞান-৪০ (জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন) এবং সাধারণ জ্ঞান-১০। (খ) ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি: বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, সাধারণ গণিত-১০, সাধারণ বিজ্ঞান-৩০ এবং সাধারণ জ্ঞান-২০।
সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া
এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং প্রার্থীর এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হতে পারে। এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৫ গুণিতক = ২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৫ গুণিতক = ২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। এমসিকিউ পরীক্ষা: ১০০ নম্বর, সর্বমোট = (২৫+২৫+১০০) = ১৫০ নম্বর। এ পরীক্ষায় ৪০ (চল্লিশ) বা তদূর্ধ্ব নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে বিবেচিত হবেন। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীর নির্বাচনী পরীক্ষার মেধাক্রম ও প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত পছন্দের ক্রমানুসারে প্রার্থী কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে তা নির্ধারিত হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম অনুসারে গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটি ভর্তির অনুমোদন প্রদান করবে।