Image description

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে একটি মামলায় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আরেক মামলায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার ওই তিন মামলার রায় ঘোষণা করেন।

হাসিনা পরিবারের তিনজন ছাড়াও এ তিন মামলায় আরো ২০ জন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন কেবল একজন। রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গত ২৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে দেয় আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির করা হয়। আদালতকে সম্মান দেখিয়ে আত্মসমর্পণ করায় তাকে লঘু শাস্তি হিসেবে ১ বছর করে তিন মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শেখ পরিবার ছাড়া মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ৩ মামলায় ৬ বছর করে ১৮ বছরের কারাদণ্ড, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার ৩ মামলায় ৬ বছর করে ১৮ বছরের কারাদণ্ড, সাবেক সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ৩ মামলায় ৬ বছর করে ১৮ বছরের কারাদণ্ড,গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার ৩ মামলায় ৬ বছর করে ১৮ বছরের কারাদণ্ড, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ২ মামলায় ৬ বছর করে ১২ বছরের কারাদণ্ড, রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ৩ মামলায় ১ বছর করে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

প্রথম মামলাটি করা হয় গত ১৪ জানুয়ারি, যেখানে শেখ হাসিনাসহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্ত শেষে চার্জশিটে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ জনে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুরবী গোলদার, খুরশীদ আলম, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়। এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম সরকার, পুরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার, আনিছুর রহমান মিঞা, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি, অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়া ও সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন—কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।