‘আল্লাহর ওয়াস্তে বাড়াবাড়ি করিয়েন না। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। আমি শুনতেছি, অনেক জনে নাকি উল্টাপাল্টা বলতেছে; খবরদার, খবরদার, খবরদার। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। আমাকে যারা চিনেনি তারা এখনও মাটির নিচে বসবাস করে। আমি চোখ তুলে দেখতেছি, আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহ মেহেরবানি, আমার জন্য সূর্য দাঁড়িয়ে থাকবে। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এরকম মর্যাদা দিয়েছেন।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এসব কথা বলতে শোনা যায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে।
এর আগে, নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়...যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। এসব কথা বলে প্রবল বির্তকের মুখে পড়েন তিনি। দল থেকে তাকে পরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জামায়াতের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন, গত ১৩ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় গণসংযোগকালে শাহজাহান চৌধুরী এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি বক্তব্যটি ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামে আলোচনা শুরু হয়।
এতে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সেজন্য বলে যাচ্ছি, চুদুর বুদুর (উল্টাপাল্টা) করিও না। লুলা (অবশ) হয়ে যাবে। আমি যদি চোখের পানি ফেলি, লুলা হয়ে যাবে। আমি অনেক কষ্ট পয়েছি। ১৮ বছরের মধ্যে ৯ বছর জেল খেটেছি। আমি টাকাপয়সা চাই নাই, ধনদৌলত, কাপড়চোপড়, পরিবারকে চাইনি। আমি আপনাদের দুয়ারে আজকে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দোয়া করবেন। মেহেরবানি করে দোয়া করবেন। আমার চোখের পানি বৃথা যায়নি। এই চরতী আমার শায়েখ, ওস্তাদ মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর জন্মস্থান। আমি এলাকাকে সম্মান করি, এই এলাকার মাটিকে সম্মান করি। এখানে কোনো রাজনীতি নাই। এখানো আর কোনো মার্কা নাই, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মার্কা একটা, সেটা হলো দাঁড়িপাল্লা।