Image description
চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা কর দিতে পারছেন না ৮৮% উচ্চ মূল্যস্ফীতিতেও ভ্যাট আদায়ে খরা, আমদানি খাতে পিছিয়ে ৬ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা, দ্রুত নির্বাচিত সরকার চান ব্যবসায়ীরা

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই অস্থির দেশ। একের পর এক আন্দোলন, দাবিদাওয়া, অন্তহীন বিক্ষোভ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, আস্থাহীনতা চরমে। সবকিছুর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে।

বিনিয়োগ স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হারসহ নানা কারণে অর্থনীতিতে এক প্রকার নীরব মন্দা। যার ফলে মানুষের আয় কমে গেছে। ব্যবসায় লাভের বদলে টিকে থাকার সংগ্রাম। যারা পারছে না তাদের ব্যবসা বা উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
একে একে অসংখ্য কারখানা বন্ধ আর বিপুলসংখ্যক কর্মীর চাকরি হারানোর ঘটনাও অহরহ। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে সরকারের রাজস্ব আয়ে। চলতি অর্থবছরের চার মাসেই রাজস্ব ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবে করও দিতে পারছেন না করদাতারা।
 
সবশেষ হিসাবে, রিটার্ন জমা করদাতাদের মধ্যে ৮৮ শতাংশই শূন্য রিটার্ন জমা দিয়েছেন বা কোনো করই দেননি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় বেশি ভ্যাট পাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে খরা চলছে। আমদানি শুল্কেও মোটা অঙ্কের ঘাটতি পড়ছে। ফলে সরকারের নিজস্ব আয়ের জায়গাটিও ঝুঁকিতে। কাঙ্ক্ষিত আয় না হলে সরকারের ব্যয় মেটানোর জন্য ঋণনির্ভরতা বাড়তে পারে।

তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১৭ হাজার ২২০ কোটি টাকা। এ সময় রাজস্ব আয়ের তিনটি অনুবিভাগেই নেতিবাচক চিত্র। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮.১৭ শতাংশে। তবে বাজারদরের আগুনে বাজারের ব্যাগ খালিই থাকছে ক্রেতার। তথ্য-উপাত্ত বলছে, বাসাভাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে উচ্চ সুদের হার বহাল রেখে মূল্যস্ফীতি কমানোর নীতির কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।

নিয়মানুযায়ী, নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আয়কর জমা দিয়েছেন মাত্র ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪২১ জন। সর্বশেষ কতজন শূন্য কর দিয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায়নি। তবে এর আগের সাড়ে ১১ লাখ করদাতার জমা দেওয়া রিটার্নের তথ্য মতে, ১০ লাখ ২৫ হাজার জনই শূন্য রিটার্ন জমা দেন বা তাঁরা কোনো করই দেননি, শতকরা হিসাবে যা ৮৮ শতাংশের বেশি।

গত করবর্ষে ৪৫ লাখ মানুষ আয়কর দিয়েছিলেন। সে হিসাবে চলতি বছর এই রিটার্ন জমা দেওয়ার হার অনেক কম। বিভিন্ন কারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি হারানো, অনেক বড় করদাতার বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ও উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে আয় সংকুচিত হওয়ার প্রভাব পড়েছে আয়কর রিটার্ন জমায়। আয়কর শাখার বৃহৎ করদাতা ইউনিট-এলটিইউ কাজ করে বড় পর্যায়ের করদাতাদের নিয়ে। সেখানে ব্যক্তি ও কম্পানি শ্রেণির করদাতারাও ঠিকমতো কর দিতে পারছেন না।

ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অনিশ্চয়তার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন অর্ডার দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা ও ব্যবসায় পরিবেশের উন্নতি আর রাজনৈতিক সরকার না আসা পর্যন্ত অর্থনীতিতে গতি ফিরবে না। রাজস্ব আদায় চাঙ্গা করতে গেলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে চাঞ্চল্য আনতে হবে। রাজনৈতিক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সার্বিক ব্যবসা ও অর্থনীতিতে একটা প্রাণচাঞ্চল্য আসতে পারে।

সাভারের একটি পোশাক কারাখানা বন্ধ হওয়ায় অর্থবছরের প্রায় আট মাস কর্মহীন ছিলেন রবিউল হাসান। বাকি চার মাসে তাঁর করযোগ্য আয় না থাকায় তিনি শূন্য কর দিয়েছেন। অথচ এর আগের করবর্ষে তিনি ন্যূনতম করের চেয়েও বেশি কর দিয়েছিলেন। শুধু রবিউলই নন, এমন করদাতার সংখ্যা অনেক। শূন্য করের অনুপাত দেখলেই যা স্পষ্ট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলটিইউর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের আদায় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। তবে লক্ষ্যের তুলনায় কম। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই আদায় বাড়ানো সম্ভব না।’

মূল্যস্ফীতির আগুনে পুড়ছে মানুষ। কিন্তু পণ্যের দাম বাড়ায় এর সুফল হলো বাড়তি ভ্যাট। কিন্তু সেটিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ২৬৩ কোটি টাকা পিছিয়ে। এই খাতে অক্টোবর পর্যন্ত আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪৮ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। এ সময় আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। উৎপাদন ও ভোগের নিম্নমুখী অবস্থায় শুধু মূল্যস্ফীতির কারণেই ভ্যাটের আদায় লক্ষ্যমাত্রার প্রায় কাছাকাছি। আগের চেয়ে পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনো পরিশ্রম ছাড়াই বেশি ভ্যাট আদায় করতে পেরেছে সরকার। যদিও ভোগের পরিমাণ কমেছে।

ভ্যাট বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘মানুষের আয় কমে যাওয়ায় ভোগ কমেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো কমিয়েছে উৎপাদন। আগের তুলনায় পণ্যের দাম বাড়লেও বিক্রি কমায় ভ্যাট আদায় কমেছে। অর্থনীতি গতিশীল না হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে না।’

নতুন বিনিয়োগ, উৎপাদন, অবকাঠামো নির্মাণ স্থবির হয়ে যাওয়ায় ধস নেমেছে আমদানি খাতে। আলোচ্য সময়ে এই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। তবে এ সময় আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ছয় হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ। অর্থ কাটছাঁট ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধও রেখেছে সরকার। তার প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে। ফলে কমেছে আমদানি। আমদানি শুল্ক হারিয়েছে সরকার। প্রকল্পের ধীরগতির কারণে ভ্যাট আদায় ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে উৎস করও কম আদায় হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বেসরকারি খাত স্থবির, কোনো বিনিয়োগ নেই। শিল্পের উৎপাদন সংকুচিত। একে একে কারখানা বন্ধ হচ্ছে। উচ্চ সুদে কেউ ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চাচ্ছেন না, আবার নতুন কারখানায়ও বিনিয়োগ করছেন না। অর্থাৎ কেনাকাটাই হচ্ছে না ঠিকমতো। সাধারণেরও সীমিত আয়ের বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে পণ্যের চাহিদা ও ভোগ ব্যয় কমে গেছে। যার ফলে কমছে আমদানি। বিশেষ করে শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি কমছেই।

আপাতদৃষ্টিতে রিজার্ভ বাড়া অর্থনীতির জন্য ভালো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াচ্ছে, কিন্তু অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় আমদানি না হলে সার্বিক অর্থনীতির সাপ্লাই চেইনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর অর্থ হলো, শিল্পের চাহিদা কমে গেছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। এর প্রভাবে অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়। মানুষ কাজ হারায়। ব্যবসার আয় কমে যায়। প্রবৃদ্ধি কমে যায়। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়ও হয় না। অর্থাৎ ব্যবসার মন্থরগতির জন্য সরকারের অভ্যন্তরীণ আয় একটি চক্রের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।

ব্যবসা-অর্থনীতিতে মন্দা থাকলে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয় না। ২০২৫ সালের সাময়িক হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের কম। এই হার আগের কয়েক বছরের ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় বেশ কম। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি বড়জোর ৪.৮ শতাংশ হতে পারে বলে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘাটতি মেটানোর জন্য ঋণ নেওয়া ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অথবা ব্যাংকিং খাত থেকে এই ঋণ নিয়েই হয়তো এই ঘাটতি মেটানো হতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিলে ব্যাংকগুলোর জন্য একটা অতিরিক্ত চাপ তৈরি হবে। বেসরকারি খাতের প্রাপ্যতা অনুযায়ী ঋণ পাবে না। ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যেতে পারে। রাজস্ব ঘাটতি হলে সামষ্টিক অর্থনীতির অন্য সব চলকের ওপরও একটা অতিরিক্ত চাপ তৈরি হবে।’

রাজস্ব আয়ে বড় ঘাটতির মুখে থাকলে দেশ একটা ঋণচক্রের মধ্যে পড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বড় ঘাটতি থাকলে আগামী অর্থবছরের বাজেটের ব্যয় ও ঋণের প্রাক্কলনের চিত্র উল্টেপাল্টে যাবে। রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি দেখা দিলে আমাদের ঋণও বেড়ে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় আয়কর, করপোরেট কর, পরোক্ষ কর থেকে শুরু করে সব জায়গায়ই প্রভাব ফেলেছে। আমদানি কার্যক্রমও শ্লথ ছিল, প্রবৃদ্ধিও মাত্র ৬ শতাংশের মতো। এটা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যার একটা প্রতিফলন। এসব কাটিয়ে উঠতে না পারলে ব্যয় করতে পারব না। ঋণচক্রে পড়ে যাব।’

সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় চাঙ্গা করতে গেলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে চাঞ্চল্য আনতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা-সক্ষমতা ও সুশাসনের দিকে নজর দিতে হবে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ উন্নত করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিলে রাজস্ব আদায়ে তার একটা প্রভাব পড়ে। ব্যবসায় মন্দা থাকায় কোথাও কর আদায়ের জন্য জোরালো পদক্ষেপও নেওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় নির্বাচনের পর হয়তো অর্থনীতিতে একটা স্বাভাবিক গতি ফিরবে। তখন রাজস্ব আদায়ের চিত্রও বদলে যাবে।’

দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা বলছেন, সার্বিক অর্থনীতির গতিই মন্থর। এখানে প্রবৃদ্ধি কমবে, রাজস্ব কমবে এটাই স্বাভাবিক। একটি অস্থির সময়ের অর্থনীতি স্বাভাবিক সময়ের মতো উচ্চ বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটবে—এটা ভাবা বোকামি। তাঁরা জানান, সামনেই নির্বাচন। ওই সময় পর্যন্ত সবাই অপেক্ষা করছে। রাজনৈতিক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সার্বিক ব্যবসা ও অর্থনীতিতে একটা প্রাণচাঞ্চল্য আসতে পারে। তখন ব্যবসা-বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি গতি পেলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য চার মাস ধরে সময় চেয়েও পাননি বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘তৈরি পোশাকসহ দেশের সামগ্রিক উৎপাদনমুখী শিল্প এখন এক নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখে। আলোচনায় বসে সমাধান খোঁজা প্রয়োজন। কিন্তু আমরা চার মাস ধরে বারবার সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাইনি। অথচ স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশে এলে তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয়, যে কম্পানি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু ৪০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় পাওয়া যায় না।’

বিকেএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ‘আমরা এখন এক কঠিন সময় পার করছি। দেশের সার্বিক অনিশ্চয়তার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন অর্ডার দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন। যদি দ্রুত সমাধান না আসে, এই সংকট আরো গভীর হবে।’

বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল সম্প্রতি এক গোলটেবিল আলোচনায় সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও শিল্প খাতকে মুক্তি দিন।’