দেশের মানুষ দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের বার্তা দেয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণাও চালাচ্ছে। সারাদেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। কিন্তু মানুষের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যারা দায়িত্ব পালন করবেন সেই কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে যারা ভোট গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন সেই পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই লটারির মাধ্যমে ৬৪ জন এসপি ও তিনশ’ জন ইউএনও’র তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের দাবি ইতোমধ্যেই লটারি হয়ে গেছে। এখন লটারিতে নাম ওঠা সৌভাগ্যবান কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেয়া হবে। প্রশ্ন হচ্ছে লটারির মাধ্যমে যারা এসপি ও ইউএনও পদে নিয়োগ পাবেন তারা কী দলনিরপেক্ষ হবেন? যারা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করেন তাদের কর্মকা-ের উপর নির্বাচনী ফলাফল প্রভাব ফেলে। ফলে লটারিই কী আগামীতে গণতন্ত্রের ভাগ্য নির্ধারণ করবে?
সূত্র জানায়, এর আগে সরকার মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নতুন কর্মকর্তাদের বসানোর লক্ষ্যে পরীক্ষার আয়োজন করে। পর্যায়ক্রমে ডিসি ও ইউএনও পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষার আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু গত ১৯ নভেম্বর জামায়াত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন এমন এসপি ও ইউএনও লটারির মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানায়। অতঃপর লটারির মধ্যেমে এসব পদে নিয়োগ জোরদার করা হয়। অবশ্য একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, জামায়াতের সঙ্গে সুসম্পর্ক এমন একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূতগণ নির্বাচনে নিরপেক্ষতার লক্ষ্যে লটারির মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব দেয়। অতঃপর সরকারের একাধিক উপদেষ্টা আগামীতে লটারির মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে এমন বক্তব্য দেন। সেটা বক্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন জামায়াতের দাবির কারণে লটারির মাধ্যমে এসপি ও ইউএনও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
গতকাল বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার এক খবরে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জেলার জন্য পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গত সোমবার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ বুধবার এই বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এসপি পদায়নের পরের ধাপে থানার ওসি নিয়োগও লটারির ভিত্তিতে করা হবে। সৎ, নিরপেক্ষ ও যোগ্য পরিদর্শকদের তালিকা এরই মধ্যে ইউনিট প্রধানদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসি, এসপি ও ইউএনওরা যাতে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করেন সে লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনে রদবদল প্রক্রিয়া চলছে কয়েক মাস ধরে। জেলাগুলোতে ডিসি নিয়োগে বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষায় অর্ধশত কর্মকর্তা পাস করলেও তাদের বেশির ভাগই ডিসি পদে নিয়োগ পাননি। বরং অন্যদের ডিসি পদে পদায়ন করা হয়। এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনমালে ২০১৪ সালের প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডামি প্রার্থীর পাতানো নির্বাচনে যারা ডিসি, এসপি ও ইউএনও পদে থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী লীগের অলিগার্ক হিসেবে চিহ্নিত ওই কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ওইসব পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার বার্তা দেয়া হয়েছিল। আগামী নির্বাচনে ওই সব বিতর্কিত আমলাদের বাদ দিয়ে নতুনদের দায়িত্বে বসিয়ে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পথে হাঁটতে পারলো না সরকার। জামায়াতের প্রস্তাবমতো লটারির মাধ্যমে এসপি, ইউএনও এবং ওসি নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। গত ১৯ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিএনপি জানিয়েছে প্রশাসনে যারা ডিসি, এসপি ও ইউএনও পদে বর্তমানে কর্মরত তাদের বেশির ভাগই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অনুগত। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর জামায়াত প্রশাসনে প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের অনুসারী আমলাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছে। নির্বাচনে ডিসিরা যেহেতু রিটার্নিং অফিসার এবং এসপিরা আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন; তারা নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারেন। বিএনপির দাবি ডিসিদের বদলে নির্বাচন কমিশন নিজেদের কর্মকর্তাদের যেন রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এতো বেশি জনবল নেই। তাছাড়া নির্বাচন পরিচালনা করবে এসপি, ইউএনওরা। তারা নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ডিসিদের আদেশ-নির্দেশ পালনে অতি উৎসাহী হতে পারেন। বিএনপির এই দাবির প্রেক্ষিতে জামায়াত তফসিলের পর লটারির মাধ্যমে এসপি-ইউএনও পদে নিয়োগের দাবি জানায়। সংলাপে অংশ নিয়ে জামায়াতের নেতারা মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচন সামনে রেখে সাম্প্রতিক জনপ্রশাসন ও পুলিশে রদবদল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। দলটির নেতারা দাবি করেন, তফসিল ঘোষণার পর একদিনে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারকে (এসপি) একযোগে বদলি করতে হবে। এক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে প্রয়োজনে লটারির মাধ্যমে রদবদল করার পরামর্শ দেন দলটির নেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে ৬৪ জেলায় নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য লটারির মাধ্যমে পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী ৬৪ জেলার এসপিকে ভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনে লটারির মাধ্যমে এসপি, ইউএনও নিয়োগ সংক্রান্ত জামায়াতের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা এ নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, জামায়াত মূলত ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দল। দলটির শ্লোগান হচ্ছে ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’। ক্ষমতায় গেলে আল্লাহর আইন কায়েমের প্রচারণা চালালেও তারা লটারির মাধ্যমে এসপি ইউএনও নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে কার্যত কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। লটারি হচ্ছে এক ধরনের জুয়া খেলা। পবিত্র কোরআনে স্পষ্টভাবে জুয়াকে (লটারি) হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। জুয়া তথা লটারিকে শয়তানের কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এতে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ জামায়াত সেই লটারি তথা জুয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব করেছে। অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মুখে ইসলামের কথা বললেও ক্ষমতার লোভে জামায়াত নেতারা মরিয়া। হিন্দু ভোট পাওয়ার জন্য ‘রোজা আর পূজা মুদ্রার এপিঠওপিঠ’। পূজাম-পে গিয়ে গীতা পাঠ, দলের হিন্দু শাখা খোলা, হিন্দু সম্মেলন করছে। এমনকি ‘আল্লাহ আমাকে পূজা ম-পে আসার তৌফিক দান করেছে’ এমন বক্তব্য দিয়েছেন জামায়াত নেতারা। আর দলটির আমির ‘ভারতের বিরুদ্ধে জামায়াত নয়’ ‘হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলতে ভাল লাগে না’ ‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীরা যেমন খুশি পোশাক পরে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে’ এমন বক্তব্য দিচ্ছে। আর দলটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘জামায়াতের সামনে ক্ষমতায় যাওয়ার এমন সুযোগ আর আসবে না’।
নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে ডিসি, এসপি ও ইউএনওরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে। সম্পতি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া মামলায় আদালতে রাজস্বাক্ষী হিসেবে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে পুলিশ ও ডিসিরাই শেখ হাসিনাকে প্রস্তাব দেন নির্বাচনের আগের রাতে তারা শতকরা ৫০ শতাংশ ব্যালটে সিল মারতে চান। শেখ হাসিনা সে প্রস্তাবে সায় দিলে দিনের ভোট রাতেই হয়ে যায়। ২০১৪ ও ২০২৪ সালেও প্রশাসন নিজেদের মতো করে ভোট করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে।’ এ বাস্তবতার কারণেই গত ২২ নভেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের আমিরে জামায়াতকে বলতে চাই, নির্বাচন শুধু জনগণকে দিয়ে নয়। যারা প্রশাসনে আছেন, তাদেরকে অবশ্যই আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে, ওসি আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে, জামায়াত প্রার্থীদের প্রহরা দেবে’। জামায়াত নেতা দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘যার যার নির্বাচনি এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের মাস্টারকে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষককে দাঁড়িপাল্লার কথা বলতে হবে। পুলিশ আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কী প্রোগ্রাম সকাল বেলায় জেনে নেবে, আর আপনাকে প্রোটোকল দেবে। টিএনও (ইউএনও) সাহেব যা উন্নয়ন এসেছে, সমস্ত উন্নয়নের হিসেব যিনি নমিনি (জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) তার থেকে খুঁজে বের করতে হবে’। জামায়াত নেতার এই বক্তব্যে প্রমাণ মেলে প্রশাসনে দলটি কেমন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমান প্রশাসনযন্ত্রে জামায়াতের কতটা নিয়ন্ত্রণ সেটা বোঝা যায় শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের পর। জামায়াত নেতার এমন বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, এ ধরনের মন্তব্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের উসকানি দেয়। জামায়াত নেতার এ বক্তব্য ‘উচ্চাকাক্সক্ষামূলক ও পুলিশের জন্য হেয়প্রতিপন্নকারী’। এতে বলা হয়েছে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত হয়। গত ১৭ বছরে পুলিশের কিছু উচ্চাকাক্সক্ষী সদস্যকে ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়েছে, যা জনগণের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। তবে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশ আগের চেয়ে আরো নিরপেক্ষ ও পেশাদারভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জামায়াত নেতার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করলেও এখনো আমলাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবাদ করেনি। কারণ প্রশাসনের জামায়াত অনুগত আমলাদের সংখ্যাধিক্য হওয়ায় প্রতিবাদ করা হয়নি। সূত্রের দাবি গতকালও এ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। কিন্তু জামায়াত নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ করবেন কিনা সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে কি এবারও লটারির মাধ্যমে জামায়াতের অনুসারী কর্মকর্তাদের ডিসি, এসপি, ইউএনও পদে নিয়োগ দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের ভাগ্য লটারির উপর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে? জনগণ যাকে ভোট দিক না কেন ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করে ভোটের ফলাফল। ফলে এবার ভোটের ফলাফল নির্ভর করবে লটারিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের উপর।