মুন্সিগঞ্জে বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্য দীর্ঘদিনের। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে মূলত বিএনপি-জামায়াতের লড়াই হবে বলে মনে করছেন এলাকার অনেক ভোটার। তবে কোনো আসনে মনোনয়নবঞ্চিত কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিএনপির ভোট ব্যাংক নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। একটিতে এখনো প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়নি। জামায়াত তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। এনসিপি ছাড়া অন্য দলগুলোও তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মাঠের খবর অনুযায়ী, বিএনপি এবং জামায়াতের প্রার্থীরা দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম মাঠঘাট, হাটবাজার। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরাও সমানতালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মুন্সিগঞ্জ-১ : শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত মুন্সিগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মুন্সিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ কে এম ফখরুদ্দীন রাজী। জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে এ আসনে মনোনয়ন কিনেছেন তিনজন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কে এম আতিকুর রহমান। সব প্রার্থীই সমানতালে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
মুন্সিগঞ্জ-২ : টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সিগঞ্জ-২ আসন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন একাধিকবারের সংসদ সদস্য এবং বিএনপি সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ, জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহা। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আবু জার গিফারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করিম। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কে এম বিল্লাল হোসেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক মাজেদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
মুন্সিগঞ্জ-৩ : মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত মুন্সিগঞ্জ-৩ আসন। মুন্সিগঞ্জের তিনটি আসনের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু এ আসন। এই আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি। এখানে প্রার্থী ঘোষণায় সময় নিচ্ছে দলটি। আসনটিতে কয়েকজন জনপ্রিয়, হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজাম্মেল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য মো. মোশারফ হোসেন পুস্তি এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বাবু। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ। তিনি প্রচার-প্রচারণায় মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনিত প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান সুমন। জাতীয় নাগরিক পার্টির গোলাম আযম আজমি এ আসন থেকে নমিনেশন জমা দিয়েছেন।