দুইদিনের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবারের প্রথম ভূমিকম্প ছিল সবচেয়ে বেশি মাত্রার, মারাত্মক ও আতঙ্কের। এদিন ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার একটি দেশজুড়ে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তা হল- ভূমিকম্প চলমান অবস্থায় রাজধানীর এক হেফজখানায় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পরম মমতায় আগলে রেখে শিক্ষকের সুরক্ষা করার ঘটনা। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের এ নিরাপত্তা দেওয়ায় প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ওই শিক্ষক।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পের সময় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রাবা আইডিয়াল ক্রিয়েটিভ মাদরাসায় ঘটে এই ঘটনা। মাদ্রাসাটির হেফজ শাখার সিসিটিভি ক্যামেরায় শিক্ষকের দায়ীত্বশীলতার চিত্র ফুটে ওঠে।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির হিফজ শাখার সহকারী শিক্ষক হাফেজ মাও. শফিকুল ইসলাম দরজার কাছেই একটি বিছানায় শুয়ে মোবাইলে কিছু করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে রুম থেকে বের না হয়ে উল্টো ছাত্রদের বিছানার দিকে ছুটে যান তিনি। দুই ছাত্রকে দুই খাট থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
শিক্ষককে দেখে দৌঁড়ে আসে আরও ২ জন শিক্ষার্থী। বিছানা থেকে একটি কোলবালিশ নিয়ে ছাত্রদের মাথা নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে। তারপর ঝাকুনি কমে গেলে ছাত্রদের নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান হাফেজ শফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে রাবা আইডিয়াল ক্রিয়েটিভ মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (হিফজ) হাফেজ মাও. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, হিফজ বিভাগে যেহেতু বাচ্চারা শিক্ষকদের কাছে থাকে তাই তাদের যত্ন নেওয়া, আদর করা শিক্ষকদের দায়ীত্বের মধ্যে পড়ে। এজন্য আমি তদের আগলে রেখেছি এবং তাদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দিতে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।
অন্যদিকে, এর বাইরে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোর একটিতে দেখা গেছে- সুপারশপে কেনাকাটার সময় ভূমিকম্প শুরু হলে বাবা আতঙ্কে তার সন্তানকে রেখেই দৌড়াচ্ছেন। এ ভিডিও নিয়েও নেটিজেনরা বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করছেন। এমনকি তারা হেফজখানার ওই ভিডিওর সাথে তুলনা করছেন।