ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, পরিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা যা আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে এমন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আমরা চাই। এমন ক্যাম্পাস চাই যেখানে ঢুকেই মনে হবে আসলেই এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আসলেই এটি আধুনিক শিক্ষার বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ইসলামিক শিক্ষায় যেমন সাড়া দেবে তেমনি আধুনিক শিক্ষায়ও সাড়া দেবে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে ৪৭ তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে পৌঁছাতে গেলে কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন দরকার। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো, সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে কিভাবে যাবে তার পরিকল্পনা এবং পরিক্রমায় ত্রুটি ছিল। একারণেই যেভাবে মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে একটি পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠেছে সেই অনুযায়ী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারেনি। এই দোষ কারোর একার নয়। এই দোষ রাষ্ট্র ও সমাজের, সেই দোষ আমাদের সবার।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান সব বিভাগ থাকবে, তবে যদি ইসলামের সমন্বয় ঘটাতে চাই তাহলে সবাইকে যেকোন পদ্ধতিতে মৌলিক ইসলামের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে অথবা ইসলামী জ্ঞানের বিষয়গুলো সিলেবাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে অথবা নতুন নতুন ইসলামিক বিভাগ খুলতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি শিক্ষার এর জন্য তিনটা ডিপার্টমেন্ট ছিল। আমি আসার পরে একটি আলাদা অনুষদ করে দিয়েছি। দুইটি নতুন বিভাগ চালু করেছি এবং আরো তিনটি বিষয় আমরা প্রস্তাবনায় পাশ করেছি, এটি প্রক্রিয়াগতভাবে সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাক। বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, আধুনিকতা, আর্টস, ইসলাম সবকিছুর সমন্বয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক দিক থেকে এবং ইসলামী শিক্ষার দিকে অগ্রসর থাকবে।
এদিন, ৪৭তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড কামরুল হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে, সকালে কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে আনন্দ র্যালি, কেক কাটা, বেলুন ও পায়রা ওড়ানো, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়।