বরগুনা শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভুয়া চিকিৎসক ও অতিরিক্ত ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে চার জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জনকে এক লাখ করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা অন্য জনকে দের বছরের জেল দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম শরিয়াত উল্লাহ আদালত পরিচালনা করে ফার্মেসি পট্টি থেকে তাদেরকে আটক করেন।
আটকরা হলেন- বিধান রঞ্জন সরকার, জহিরুল ইসলাম সৌরভ, দ্বিলিপ কুমার ও এস কে লস্কর।
তাদেরকে আটক করে বরগুনা ফার্মেসি পট্টির জহিরুল ইসলাম সৌরভের চেম্বারে আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম শরিয়াত উল্লাহ ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে তাদের সার্টিফিকেট যাচাই-বাচাই করা হয়।
পরে তাদের ৩ জনের জনের সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হয়। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় বিধান রঞ্জন সরকার, দ্বিলিপ কুমার ও এসকে লস্করকে এক এক লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এ সময় তারা ডাক্তারি করবে না মর্মে অঙ্গীকার করেন। অন্য আটক জহিরুল ইসলাম সৌরভ কোনও সার্টিফিকেট দেখাতে না পারায় তাকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামাল হোসেন বলেন, এস এম শরিয়াত উল্লাহ স্যারের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে বরগুনা শহর থেকে ৪ ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। পরে যাচাই-বাচাই করে তিন জনকে জরিমানা এবং একজনকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।