Image description
 

তীব্র শীত ও ভারী তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য। দেশজুড়ে শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, আর ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে বহু এলাকা গুরুত্বপূর্ণ এই সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

অনেক অঞ্চলে বরফে ঢেকে যাওয়া রাস্তা ও শৈত্যপ্রবাহ মানুষের জীবনযাত্রাকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত থেকেই তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। এরপর আবহাওয়া দপ্তর পরপর একাধিক সতর্কতা জারি করে জানায়, আগামী কয়েক ঘণ্টায় আবারও ‘থান্ডারস্নো’ বা বজ্রসহ তুষারঝড় আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে তুষার ও বরফ জমে থাকার কারণে জারি রয়েছে অতিরিক্ত ইয়েলো ওয়ার্নিং।

বিবিসি জানায়, উত্তর-পূর্ব স্কটল্যান্ডে একশোরও বেশি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসেও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বরফে পিছল রাস্তায় যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় এবং বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে স্কুলগুলো গরমের ব্যবস্থা চালু রাখতে না পারায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওয়েলসের পশ্চিমাঞ্চলে রাতভর বরফ ও তুষার জমে থাকার পর এখনো শত শত বাড়ি বিদ্যুৎহীন। উত্তর ইংল্যান্ডের কিছু এলাকায় অ্যাম্বার ওয়ার্নিং জারি করা হয়েছে—বিশেষ করে উত্তর ইয়র্কশায়ারে, যেখানে যাতায়াত বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শঙ্কা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা বিভিন্ন অঞ্চলে অ্যাম্বার ‘কোল্ড–হেলথ অ্যালার্ট’ জারি করেছে, যাতে শীত–সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আরও তিনটি নতুন ইয়েলো ওয়ার্নিং জারি করা হয়েছে, যা শুক্রবার পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ঠান্ডার এই তীব্র প্রবাহ আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।

সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত রাতটি ছিল চলতি মৌসুমে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে শীতল রাত। অক্সফোর্ডশায়ারের বেনসনে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে বহু এলাকায় তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও সীমিত দৃশ্যমানতার মুখোমুখি হতে হয়েছে মানুষকে।

শীর্ষনিউজ