Image description

হাসান আল জাভেদ (Hasan Al Javed)

সন্তোষ শর্মার কালবেলা বিক্রি কৌশল!
গুজব মন্ত্রী (তথ্যমন্ত্রী) হাছান মাহমুদের দুই মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং আবিরা নাওয়ার মাহমুদের নামের শেয়ার বিএনপির এক নেতার কাছে বিক্রি করে ভারতপন্থী গণমাধ্যম 'কালবেলা'তে অভিনব কৌশলে সংস্কার আনা হচ্ছে।
তবে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন সহ গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর হয়ে সরাসরি বাংলাদেশ/রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত/নাশকতাকারী সন্তোষ শর্মা থাকছেন বহাল তবিয়তে। হাছান মাহমুদের নাম মুছে বিএনপিকে স্থলাভিষিক্ত করায় পত্রিকাটি এখন থেকে কৌশলে ভারতীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র/নাশকতায় আরও সুযোগ পেল।
 
কালবেলা মাল্টিমিডিয়া কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, পত্রিকাটির পাঁচজন শেয়ার হোল্ডারের দুইজন বিশ্বাস বিল্ডার্সের মালিক নজরুল ইসলাম ও কোম্পানি প্রতিনিধি রাকাতুল ইসলাম। অপরজন সন্তোষ শর্মা। অবশিষ্ট দুইজন ভারত ঘনিষ্ঠ এবং সন্তোষ শর্মার কথিত বন্ধু হাছান মাহমুদের দুই মেয়ের নামে।
অন্তবর্তাকালীন সরকার গঠনের পর ভারতীয় আশির্বাদপুষ্ট হয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো, ডিবি কার্যালয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের দোভাষী হিসেবে হারুন ইজহার সহ ওলামা-মাশায়েখদের জিজ্ঞাসাবাদের কারণে চাপের মুখে ছিল প্রতিবেশি দেশের পতাকায় বিশ্বাসী সন্তোষ শর্মা।
এ কারণে অনেকদিন ধরে বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টদের কাছে পত্রিকার একাংশ (হাছান মাহমুদের শেয়ার) বিক্রি সহ পত্রিকার শীর্ষপদে বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে ইমেজ পুণরুদ্ধারে মরিয়া মিষ্টভাষী চিটার সন্তোষ শর্মা। অবশেষে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠভাজন হিসেবে পরিচিত একজন বিএনপি নেতার কাছে সম্প্রতি পত্রিকার একটি অংশ বিক্রিও করেন তিনি।
 
সূত্র জানায়, পত্রিকা বিক্রিতে ভারতপন্থী দুইজন বিএনপি নেতা মধ্যস্থতাকারী ছিলেন, যাদের দু'জনের বাড়িই বৃহত্তর নোয়াখালীতে। তাদের একজন ব্যবসায়ী, অন্যজন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলব জেনারেল মঈনইউ আহমেদকে নিয়োগে অবদান রাখেন।
পত্রিকা বিক্রির পর সন্তোষ শর্মা নিজে সম্পাদক হিসেবে বহাল থাকলেও নতুন মালিকানায় যাওয়া বিএনপির ওই নেতার সঙ্গে যোগসাজোশ করা সাংবাদিককে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগের গুঞ্জণ রয়েছে। সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে একটি বিতর্কিত গণমাধ্যমে চাকরিরত ওই সাংবাদিক সন্তোষ শর্মার পা-চাটা কর্মী এবং বিএনপি বিটে সিন্ডিকেট সৃষ্টিকারী এবং ভারতপন্থী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত।
 
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আবদুল মতিন সম্পাদনায় দুই বছরেরও বেশি সময় আগে ৬৭ লাখ টাকায় পুরনো দৈনিক কালবেলা কিনে নেয় সন্তোষ শর্মা। এরপর নিজের নামে কেনা পত্রিকার 'ব্রান্ড ভ্যালু' ১০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে সেটিকে 'গুডউইল শেয়ারে' রূপান্তরের মাধ্যমে, এক কথায় মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো বিনিয়োগ দেখিয়ে পত্রিকার মালিক বনে যান সন্তোষ শর্মা। অভিযোগ রয়েছে, এই ৬৭ কোটি টাকাও ভারতীয় দূতাবাস প্রদান করেছে।
 
পত্রিকাটির মূল বিনিয়োগকারী #বিশ্বাসবিল্ডার্স এর মালিক নজরুল ইসলাম। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (#দুদক) তালিকাভূক্ত নজরুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তবে এক টাকাও বিনিয়োগ না করে দুই মেয়ের নামে মালিকানা পায় হাছান মাহমুদ।
ঝিনাইদহের একটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থীতা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভনে হাছান মাহমুদের পুরো অংশ বিনিয়োগ করেন নজরুল ইসলাম।
 
নজরুল ইসলাম নির্ভার ছিলেন হাছান মাহমুদ এবং ভারতীয় আর্শীবাদ থাকলে দুদকের মামলা প্রত্যাহার এবং এমপিগিরি দুটোই সম্ভব।
 
#কালবেলা সংশ্লিষ্ট কয়েকজন রিপোর্টার ও ডেস্কে কর্মরত সাংবাদিকের ভাষ্য, উচ্চবেতনের আশায় তারা বিভিন্ন স্বনামধন্য গণমাধ্যম থেকে এখানে যোগদান করেছেন। কিন্তু শুরু থেকেই পত্রিকাটি দেশ বিরোধী কর্মকান্ড সহ সম্পাদকের নির্দেশে চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকায় তারা চরম উদ্বেগে রয়েছেন। এরই মধ্যে নিউজ এডিটর সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে অন্য হাউজে চলে গেছেন। নতুন গন্তব্য খুঁজছেন অনেকে।
 
ব্যতিক্রম হলো গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি এবং দেশের চেয়ে নিজেরটা বেশি দেখা অর্থলোভীরা চাকরি পেতে তদ্বিরও চালিয়ে যাচ্ছেন, যোগদান করছেন।
#বিএনপি #তারেকরহমান #ভারতীয়আগ্রাসন #গুজবমাহমুদ
May be a graphic of wrist watch and text