ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির অবশিষ্ট অংশ ভাঙতে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে লোকজন। এর মধ্যে কলাবাগান ও স্কয়ার হাসপাতালের সামনে পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক মিনিট পরপর কাঁদানে গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে স্কয়ার হাসপাতালের সামনে সাউন্ড গ্রেনেড এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রোগী এবং স্বজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আশপাশের এলাকার অলিগলির সড়কেও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে পুলিশ। ফলে বাসিন্দাদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলাবাগান অংশে কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে। তারা বারবার ধানমন্ডি ৩২ এর দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে। জবাবে কিছুক্ষণ পরপরই সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। কিন্তু তারা কিছুতেই পিছপা হচ্ছে না। স্কয়ার হাসপাতালের সামনে একটি দল অবস্থান নিয়েছে। তারাও পুলিশের দিকে ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে সামনে এগানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশের বাধায় তারা সামনে এগোতে পারছে না।
স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা মোস্তফা কামাল। তার সঙ্গে দেখা করতে বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতালের সামনে যান স্বজন মাসুদ আলম। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ চলায় হাসপাতালের ফটক আগেই লাগিয়ে রাখেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এ কারণে তাকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে অনেক অনুরোধ এবং রোগীর নাম পরিচয় জানানোর পর তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে মাসুদ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি মোস্তফা কামাল তার চাচা। বাইরে সাউন্ড গ্রেনেড ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় হাসপাতালের ভেতরে তারাও চাচাও আতঙ্কে রয়েছেন বলে তাকে মোবাইলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ধানমন্ডি ২৭ থেকে ৩২ নম্বরে যাওয়ার সড়কে নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে আরও কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘিরে তারা স্লোগান দিচ্ছে। তবে এখানে সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত থাকায় তারা সামনে এগোনের চেষ্টা করছে না।
আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের পশ্চিমপাশে আবাসিক এলাকায় আরও শতাধিক মানুষ জড়ো হয়েছে। তারাও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।