পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়া সাংবাদিকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়াসহ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি বরিশাল নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা রুস্তুম আলী হাওলাদারের ছেলে এবং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ হাওলাদার মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।
এরআগে চলতি বছরের মার্চ মাসে বরিশাল আদালতের প্রবেশ মুখে দুইজন ফটো সাংবাদিককে মারধর করে হত্যার চেষ্টা ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী এবং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ হাওলাদার মাসুমসহ তাদের সহযোগিরা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুব আলম জানান, বরিশাল নগরীর ডিসি ঘাট কাঁচাবাজারের সামনে গত ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি হিসেবে মাসুমকে গ্রেপ্তার করেন তারা। তখন আসামির পরিবারের সদস্য ও তার অন্যান্য সহযোগিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি, বাঁশ ও রড নিয়ে আক্রমণ করে।
এতে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই নাসিম হোসেন, এএসআই বোরহানউদ্দিন ও এটিএসআই জাইদুর রহমান আহত হয়। তখন মাসুম এক পুলিশ সদস্যর হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এসে ছাত্রদল নেতা মাসুদ হাওলাদার মাসুমের স্ত্রী নাসরিন জাহান রিমি, ভাই সোহেল হাওলাদার, বোন শিল্পী বেগম ও তার স্বামী রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
এ ঘটনায় থানার এসআই মাহবুব আলম বাদি হয়ে ১৫ নভেম্বর বেআইনি জনতায় পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান, আক্রমণ ও অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে এলোপাতারিভাবে মারধর করে গুরুত্বর আহতর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নামধারী ১৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারকৃত চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরও জানান, বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশকে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়া আসামি মাসুদ হাওলাদার মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।