সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) কারো পক্ষে কাজ করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সিইসি এই কথা বলেন।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতি ও জনগণের কাছে নির্বাচন কমিশন ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। কমিশন কারো পক্ষে কাজ না করে, বিবেক, দেশের প্রচলিত আইন, বিধি ও বিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে মনে করেন আমরা তার পক্ষে কাজ করলে আমরা নিরপেক্ষ। কিন্তু আমরা কারো পক্ষে কাজ করতে পারব না। আমাদের বিবেক দেশের প্রচলিত আইন বিধি বিধান যা বলে সেটা মনেই আমরা চলবো, ইনশাল্লাহ।’
সংলাপ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের এখানে আমন্ত্রণ জানানোর মূল পারপাস দুইটা। একটা হল, আমরা যে একটা আচরণবিধি বানিয়েছি তা পরিপালনে আপনাদের সহযোগিতা চাওয়া। আর হলো একটা সুন্দর নির্বাচনের কথা আমরা সবাই বলছি, এবং আমরা জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। একটা নিরপেক্ষ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে আপনাদের সহযোগিতা চাওয়া আমাদের বড় উদ্দেশ্য।’
তার মতে, নির্বাচন সংস্কার কমিশন এবং ঐক্যমত কমিশন বিভিন্ন অংশীদার ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ইসির কাজ কিছুটা ‘হালকা করে দিয়েছে’।
জাতীয় নেতাদের ব্যস্ততা ও ইসির অভ্যন্তরীণ কাজের চাপ মিলিয়ে কিছুটা দেরিতে সংলাপ শুরু হয়েছে মন্তব্য করে সিইসি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সবার সহযোগিতা নিয়ে কনসালটেশনের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করা যাবে।’
বর্তমান কমিশনের সামনে থাকা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এআই ব্যবহার করে ‘মিথ্যা ও অপতথ্য’ ছড়ানোকে চিহ্নিত করেছেন সিইসি।
তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জ আগের কমিশনদেরকে ফেইস করতে হয়নি। এই একটা বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। এর মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জ জেনারেট হচ্ছে ফ্রম আউটসাইড দ্যা বর্ডার। এগুলো ট্যাকেল করা আমাদের জন্য বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইনশাল্লাহ, আপনারা সহযোগিতা করলে আমরা এ চ্যালেঞ্জও উত্তরে উঠতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।