জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১২টার দিকে আদালত বসবে। এরপর রায়ের তারিখের বিষয়ে জানা যাবে।
এদিকে দিনটিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেটসহ সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনী, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট দিয়ে ভেতরে ঢোকার সময় আইনজীবী ও সাংবাদিকদের চেক করা হয়।
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন। দিনটি ঘিরে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ।
সরেজমিনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট ও মাজার সংলগ্ন ট্রাইব্যুনালের গেটে দেখা যায়, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। বিজিবি ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান রয়েছে সেখানে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর টহল দল আশপাশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যে-কোনো নাশকতা ঠেকাতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে মোতায়েন থাকছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার রাস্তার পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে তুলনামূলক যানবাহন কম দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট এলাকায় আসার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া ঢাকা ও আশপাশের জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।