ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, জুলাইয়ে মাধ্যমে যে প্রজন্ম তৈরি হয়েছে তারা কাউকে ভয় পায় না। আপনারা যদি সংস্কারের পথে বাধা তৈরি করেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার যে পরিণতি হয়েছিল আপনাদের তার চেয়েও খারাপ পরিণতি হবে। আজ বৃহস্পতিবার ( ১৩ নভেম্বর) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রশিবির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্তৃক নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়, পরে তা সাইন্সল্যাব হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দামসহ ডাকসু ও শিবিরের কেন্দ্রীয়-মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, গুম-খুন, ফ্যাসিবাদ কায়েমের মাধ্যমে খুনি হাসিনা ও তার দোসররা গত ১৬ বছরে বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমাদের এই নতুন বাংলাদেশে সবাই স্বপ্ন ছিল শহীদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে একটি বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক দেশ নির্মাণ করা। গত ১৬ বছরে যারা গুম, খুন, আয়না ঘর কায়েম করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল তাদের বিচার হবে। কিন্তু দেড় বছর পরেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুনি হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, খুনি হাসিনার রায় দ্রুত ঘোষণা করতে হবে এবং দেশে এনে তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। খুনি হাসিনার যত দোসর আছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনাকে খুনি, ফ্যাসিস্ট, সন্ত্রাসী বলতে ভয় পায়। খুনি হাসিনা তো এদেশ থেকে ভারতে পালাবার সুযোগ পেয়েছে কিন্তু যারা খুনি হাসিনার প্রতি সহানুভূতি দেখাবে তারা একদেশ থেকে পালাবার সুযোগ পাবে না। ছাত্রজনতা আপনাদের যেখানে পাবে সেখানে প্রতিহত করবে।
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের সুপারিশ করেছে কিন্তু বিএনপি বড় বড় সংস্কারগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। এতদিন তো রাষ্ট্র সংস্কারের নামে ৩১ দফা দাবি দিয়েছেন, তাহলে এখন কেন নোট অব ডিসেন্ট দিচ্ছেন। জুলাইয়ে মাধ্যমে যে প্রজন্ম তৈরি হয়েছে তারা কাউকে ভয় পায় না। আপনারা যদি সংস্কারের পথে বাধা তৈরি করেন পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার যে পরিণতি হয়েছিল আপনাদের তারচেয়েও খারাপ পরিণতি হবে।
ডাকসুর এই ভিপি বলেন, ছাত্র জনতার যে দাবি, শহিদের যে আকাঙ্ক্ষা সে আলোকে রাষ্ট্র সংস্কারের জায়গায় সহযোগিতা করেন। একই সাথে সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আহ্বান করব রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করার ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিনির্মাণ করার।